জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়, প্রয়োজনে পাওয়ার গ্রিড সরানো হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যেভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানালেন "মানুষ না চাইলে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। দরকার হলে পাওয়ার গ্রিড অন্য কোথাও সরানো হবে"।
কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি : জোর করে অধিগ্রহণ করা জমিতে পাওয়ার গ্রিডের কাজ করতে দেওয়া হবে না। জমি তুলে দিতে হবে জমিদাতাদের হাতে। এই নিয়েই সকাল থেকে উত্তাল ভাঙড়।[পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা বিদ্যুৎমন্ত্রীর, তবু চলছে লাগাতার অবরোধ]
যেভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইট করে জানিয়ে দিলেন "মানুষ না চাইলে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। দরকার হলে পাওয়ার গ্রিড অন্য কোথাও সরানো হবে।"[নন্দীগ্রামের ধাঁচে জমি আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যাচ্ছেন রেজ্জাক!]
এদিন দুপুরেও ভাঙড়ে অশান্তির খবর পাওয়ার পরই নবান্ন সূত্র ঘোষণা করা হয়, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোনও কৃষি জমির চরিত্র বদল হবে না। আর কৃষি জমির চরিত্র বদল করে কোনও প্রকল্প করাও হবে না। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হবে না। ওই প্রকল্পের নির্মাণকার্য স্থগিত রাখা হচ্ছে।[মুখ্যমন্ত্রী বা বিদ্যুৎমন্ত্রীকে এসে পাওয়ার গ্রিড বন্ধের আশ্বাস দিতে হবে, নতুবা আন্দোলন চলবে]
পাওয়ার গ্রিডের কাজ বন্ধ হওয়ার পরও অগ্নিগর্ভ অবস্থা ভাঙড়ে। কিন্তু কাজ বন্ধ করার পরও কেন আন্দোলন চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এদিকে প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছে প্রশাসন।[অশান্ত ভাঙড়, নিজের এলাকায় ঢুকতেই পারলেন না রেজ্জাক]
এদিকে, পুলিশের দেওয়া যে রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে এই ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে মাওবাদী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০-৫০ প্রাক্তনীর।