বিজেপি ছাড়তে চলেছেন 'তারকা' নেতা! একুশের বিধানসভার আগে জল্পনার পারদ তুঙ্গে
বিজেপিতে তারকা পতন! একুশের বিধানসভার আগে জল্পনার পারদ চড়ছে যাঁকে নিয়ে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে তাঁর রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ। নেতাজির ভাবাদর্শ অনুপ্রাণিত তিনি। তবু গতানুগতিক রাজনীতির আঙিনায় তিনি টিকে থাকতে পারলেন না। তাঁকে সরে যেতে হল পদ থেকে। আরও স্পষ্ট করে বললে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। সহ সভাপতির পদে আসীন ছিলেন, সেখান থেকে তাঁর মহাপতন হল।
তারকা হয়ে হঠাৎ উত্থান, পতনও
তিনি চন্দ্র বসু। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি তিনি। নেতাজিকে জীবনের ধ্রুবতারা করে তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। হঠাৎ তারকা হয়ে বঙ্গ বিজেপিতে উত্থান হয়েছিল তাঁর। সেই তিনি সোমবার থেকে আর বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি নন। তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে ওই পদ থেকে।
বৈষম্যমূলক নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী
সেই প্রসঙ্গেই জল্পনার পারদ চড়েছে, তবে কি বিজেপিতে তাঁর ইতি পড়ে গেল। তিনি এবার সরিয়ে নেবেন নিজেকে। কেননা তিনি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন, "আমি নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করি। যদি কেউ এর বিরুদ্ধে যায় তবে আমি আওয়াজ তুলবই। আমি বৈষম্যমূলক নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসীI
দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন, বদলে অপসারণ
চন্দ্রবসু জানান, কয়েক মাস আগে বাংলায় দলের নেতৃত্বের কাছে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলেছিলাম, যাতে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি। সক্রিয় হয়ে কাজ করতে পারি। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কথার প্রত্যুত্তর দেয়নি। আমাকে কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। আজ জানলাম কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি।
রাজ্য সভাপতি যখন অযোগ্য, ঠাঁই নেই সমালোচকের
এর আগে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অযোগ্য-অক্ষম বলে তোপ দেগেছিলেন। স্বভাবতই তারপর রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটিতে তাঁর স্থান হওয়ায় কথা নয়। হলও তাই, রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়লেন চন্দ্র বসু। দীর্ঘদিন ধরেই বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে তাঁর বনিবনা চলছিল না।
এবার কি বিজেপিকে বিদায় জানানোর পালা
এবার কি তবে বিজেপিকে বিদায় জানাবেন নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু? নাকি তিনি মোদীকে আদর্শ করে বিজেপিতেই রয়ে যাবেন? তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেননি চন্দ্র বসু। শুধু জানিয়েছেন তাঁর আদর্শের কথা। তিনি কোন রাজনীতি চান, আর বঙ্গ বিজেপি কোন রাজনীতি করছেন, তাও তিনি উল্লেখ করেন এবং তোপ দাগেন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
বিজেপির কমিটিতে ঠাঁই হল না সহ সভাপতি চন্দ্র বসুর
সোমবার বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল হল রাজ্য বিজেপিতে। দলীয় নেতৃত্বে নতুন মুখ নিয়ে আসা হল। সেখানে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা, সিপিএম নেতাদের ভিড়। কিন্তু ঠাঁই হল না বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্র বসুর। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে প্রবেশ তাঁর। তবু তিনিই অপসারিত হলেন পদ থেকে।
বঙ্গ বিজেপির ১২ জন ভাইস প্রেসিডেন্টের কেউ নন চন্দ্র
সম্প্রতি বহু বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বিজেপির মতপার্থক্য হয়েছিল। তিনি রাজ্য বিজেপির সমালোচনা তো করেইছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীরও সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। এবার তাই তাঁর নাম বাদ পড়ল কমিটি থেকে। সহ সভাপতি হয়েও একেবারে কমিটি থেকে আউট হয়ে গেলেন তিনি। আর তিনি বিজেপির বেঙ্গল ইউনিটের ১২ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা সহ সভাপতিদের কেউ নন।
সমালোচনার খেসারত, এখনও টুইটারে নিষ্প্রভ চন্দ্র
বেঙ্গল বিজেপির সূত্র জানিয়েছে যে, চন্দ্র বসুর দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপের কারণে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বিচলিত ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে, যেমন- সিএএ ইস্যুতে বিজেপির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে শুরু করে লকডাউন দ্বারা অভিবাসীদের দুর্দশার দিকে নজর দেওয়া পর্যন্ত নানা ইস্যুতে তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বাদ পড়ার পর কিন্তু তাঁর টুইটার এখনও গর্জে ওঠেনি।
চার্চে যাবেন ট্রাম্প, ওয়াশিংটনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস