মুকুল-দিলীপ মতপার্থক্য তীব্র! মমতার বিরুদ্ধে রণনীতি নিরূপণে বিপাকে বিজেপি-কর্মীরা
বিজেপির ‘বিরাট-ধোনি’র মতপার্থক্য দিন দিন প্রকাশ্যে চলে আসছে। ফের তাঁরা এক মঞ্চে থেকে পরস্পরবিরোধী মত প্রকাশ করলেন। আর তাতেই ধন্দে পড়েছেন দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা।
এক দলে এক মঞ্চে থাকলেও, মত তাঁদের এক নয়। এক নয় তাঁদের চলার পথও। পদে পদে তা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির 'বিরাট-ধোনি'র মতপার্থক্য দিন দিন প্রকাশ্যে চলে আসছে। ফের তাঁরা এক মঞ্চে থেকে পরস্পরবিরোধী মত প্রকাশ করলেন। আর তাতেই ধন্দে পড়েছেন দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা। আসন্ন পঞ্চায়েতে তাঁরা কার কথা মানবেন, কোন পথে চলবেন, তা স্থির করতেই ঘোর সমস্যায় পড়েছেন।
[আরও পড়ুন: কৃষকের মুখের হাসি ফিরিয়ে দিলেন মমতা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা রাজ্যের]
সম্প্রতি বিজেপিতে পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব পেয়েছেন মুকুল রায়। তারপর থেকেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তিনি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন আসরে। তিনি চাইছেন তৃণমূলকে ঝটকা দিয়ে বিজেপিকে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর জায়গা দিতে। আর তা নিয়েই তীব্র মতপার্থক্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি আর পঞ্চায়েতে দলের প্রধান মুখ মুকুল রায়ের মধ্যে।
নদিয়ার রানাঘাটে তিন জেলার কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই মঞ্চে একসঙ্গেই ছিলেন মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। আর এই সভাতেই দুই নেতার মন্তব্যে বেজায় বিভ্রান্ত নেতা-কর্মীরা। মুকুল রায় চান, 'তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের টিকিট দিয়ে দলের জয়ের পথ মসৃণ করতে। আর সেই মত খণ্ডন করে দিলীপ ঘোষের দাবি, কখনই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের দলের টিকিট দেওয়া উচিত নয়।'
দিলীপবাবুর যুক্তি, 'তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের প্রার্থী করা মানে, তা হবে দলের পক্ষে বুমেরাং। কেননা, তাঁরা জেতার পর সহজেই তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন। ফলে এসব ক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধদের আগে নির্দল হিসেবে জিতে আসা জরুরি। তারপর তাঁদের দলে নেওয়া যেতে পারে।' দুই নেতার এহেন দুই প্রকার বক্তব্যে বিপাকে কর্মীরা।
[আরও পড়ুন:বাংলা মানেই বাণিজ্য! স্রেফ শান্তির বিনিময়ে পাহাড়-উন্নয়নে বিনিয়োগ-বার্তা মমতার]
মুকুল রায় দলে যোগ দেওয়া থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে এমন দুই প্রকারের মত উঠে আসছে। দুটি সমান্তরাল শিবির চলছে বিজেপিতে। বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই গোষ্ঠীকোন্দলের কথা পরোক্ষে শিকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'রাজনীতিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবেই।'
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়েও দুই নেতার ভিন্নমত। দিলীপবাবু বলেন, 'ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রবণতা রয়েছে একশ্রেণির। সেই প্রবণতা কমাতে হবে।' মুকুল রায় বলেন, 'যে যাঁর ব্যক্তিগত মত জাহির করতেই পারে। সেটা করার যেমন অধিকার রয়েছে তাঁর, তেমনই তা যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে দেখা দরকার দলের।'