মুকুলের ‘নালিশ’ বিজেপির বিরুদ্ধে! শাহকে খেদের কথা জানাতেই কি দিল্লি যাত্রা, জল্পনা
মুকুলের ‘নালিশ’ বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে! সটান শাহকে জানালেন খেদ, ‘ব্যবস্থা’ শীঘ্রই
তিনি একসময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ছিলেন। সেই মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই ভাঙতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলকে। তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ ও পুর কাউন্সিলরদের বিজেপিতে আনার কৃতিত্ব তাঁর। তবে এখন মুকুল রায় দলের হয়ে কোনও কাজ না করে খুব বিচলিত বলে মনে করছেন।
খেদের কথা শ্রবণ করানোর জন্য দিল্লিতে
নিজের সেই অসন্তুষ্টির কথাই দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহকে বলে এসেছেন মুকুল রায়। তিনি বিজেপির শীর্ষ স্তরে তাঁর কথা শোনাতে শুরু করেছেন। মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় নিয়ে নয়, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তাঁর খেদের কথা শ্রবণ করানোর জন্য।
মুকুল রায়ের সেই অসন্তুষ্টির বার্তা শাহকে
বর্তমানে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপিকে। শাহ কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেন। মুকুল রায়ের বিষয়টিও বিশেষ হিসেবেই বিবেচিত করে অমিত শাহ শোনেন মুকুল রায়ের কথা। মুকুল রায়ের সেই অসন্তুষ্টির কথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় শাহকে আগেই বলেছিলেন।
মুকুল-শাহের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কী ছিল
মুকুল রায় গত সাত দিনে দু'বার বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শনিবার তিনি বাংলায় ফিরে আসার পর স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি শাহের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তবে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
বঙ্গ বিজেপিতে স্বাধীনভাবে কাজে বাধা?
তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের কৌশল রচনাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে মুকুল রায় স্বীকার না করলেও তিনি যে বঙ্গ বিজেপিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না, তা নিয়েও যে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে তা উঠে এসেছে।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র কাছে নালিশ মুকুলের
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির কর্তৃত্ব এখন দিলীপ ঘোষের হাতে। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন বেঙ্গল বিজেপি ইউনিটকে। অভিযোগ, মুকুল রায়কে নির্দ্বিধায় কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র কাছে নালিশ করেছেন মুকুল। তা অমিত শাহকে জানানোয় হয়। মুকুলও এই মর্মে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
মুকুলকে গুরুত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, ব্রাত্য রাজ্যে
চলতি বছরে দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে ফিরে আসার পর থেকেই সমস্যাগুলি আরও জটিল হতে শুরু করে। তা নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে কী কথা হয়েছিল, সে সম্পর্কে অবশ্য বিজেপি বা মুকুল রায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই বলেননি। মুকুল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গুরুত্ব পেলেও, রাজ্যে ব্রাত্য থাকছেন।
কী ভাবে বঙ্গে মুকুলকে গুরুত্ব, ভাবছেন শাহ
মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন এমন সম্ভাবনা যখন জোরদার, তখন সারদা ও নারদা কেলেঙ্কারিতে মুকুল রায়ের নাম থাকা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও অমিত শাহ এখন ভাবছেন কী ভাবে বঙ্গে মুকুল রায়কে গুরুত্বের আসনে বসানো যায়। সেই কারণে মুকুল রায়কে জোড়া উপহার দেওয়া হতে পারে।
মুকুল রায়ের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে
সম্প্রতি বিজেপিতে রদবদল হচ্ছে। মুকুল রায় পেতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ। এমন সম্ভাবনা ক্রমশই উজ্জ্বল হচ্ছে। বিজেপির বিভিন্ন সূত্র থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মুকুল রায় দুদিন ধরে অমিত শাহের সঙ্গে যে বৈঠক করে এসেছেন, তার সুফলই পেতে চলেছেন তিনি। ফলে মুকুল রায়ের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে এই জুনেই, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২১-এর আগে মুকুল রায়কে চাঙ্গা রাখতে
এরপর রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে তিনি মন্ত্রীও হতে পারেন। আবার যে সে মন্ত্রক নয়, খোদ অমিত শাহের ডেপুটি হতে পারেন মুকুল রায়। একেবারে জোড়া তোফা অপেক্ষা করে আছে মুকুলের জন্য। অদূর ভবিষ্যতে তাঁর মাথায় উঠতে চলেছে এই সম্মান। মোট কথা ২০২১-এর আগে মুকুল রায়কে চাঙ্গা করার সমস্ত দাওয়াই প্রস্তুত বিজেপির।
তাঁকে নিয়ে অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা! অনুব্রত মণ্ডলকে কতটা গুরুত্ব, জানালেন মুকুল রায়