বাংলায় লকডাউনে কী করা যাবে না, আর কী করতে হবে গাইডলাইন দিলেন মমতা
করোনার মোকাবিলায় রাজ্যেও ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে লকডাউন বাড়লেও কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে।
করোনার মোকাবিলায় রাজ্যেও ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে লকডাউন বাড়লেও কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ধ থাকবে পরিষেবা, তা তিনি জানিয়েছেন গাইডলাইনে। চতুর্থপর্বের লকডাউন হবে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
যা বন্ধ থাকবে
- জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত স্কুল-কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইসিডিএস সেন্টার।
- বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
- বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, শপিংমল, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার ও অডিটোরিয়াম, অ্যাসেম্বলি হল, স্পা।
- সামাজিত, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
যা করণীয়
- মাস্ক পরতে হবে
- সমাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ২ মিটার।
- সমস্ত জনবহুল স্থান, রাস্তা, হাউজিং কমপ্লেক্স, আবাসন, কোনও কর্মস্থানকে স্যানিটাইজ করতে হবে।
- ৬৫ বছরোর্ধ্ব মানুষ, অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা, ১০ বছরের কমবয়স্ক শিশুকে বাড়িতেই থাকতে হবে।
- পাবলিক প্লেসে থুতু ফেলা যাবে না।
- সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা একসঙ্গে থাকা যাবে না। কোনও জমায়েত চলবে না।
- মদ্যপান, গুটখা, পান, তামাক পাবলিক প্লেসে নিষিদ্ধ।
- অনুমতি পত্র, লাইসেন্স বা পাস ছাড়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে না।
- প্রবেশ ও প্রস্থান পথে সর্বদা তার্মাল স্ক্যানিং, হ্যান্ড ওয়াশ এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- বিবাহাদি অনুষ্ঠানে ১৫ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ।
- অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেও ১৫ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না।
কন্টেনমেন্ট জোন তিনভাগে বিভক্ত, কোন ভাগে কী
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
জানান,
রাজ্যে
কন্টেনমেন্ট
জোনকে
তিনভাগে
বিভক্ত
করে
আমরা
বিভিন্ন
কাজ
করব।
যাতে
সমস্ত
অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড
বা
সামাজিক
পরিষেবা
চালু
রাখা
যায়
তার
ব্যবস্থ
করছে
রাজ্য।
সামাজিক
দূরত্ব
মেনে
কাজ
করতে
বুথ
ও
ওয়ার্ডভিত্তিক
কন্টেনমেন্ট
জোন
করা
হচ্ছে।
কন্টেনমেন্ট
জোনকে
তিনভাগে
ভাগ
করা
হয়েছে।
কন্টেনমেন্ট-এ
জোন
হল
অ্যাফেক্টিভ
জোন,
কন্টেনমেন্ট-বি
হল
বাফার
জোন
আর
কন্টেনমেন্ট-সি
হল
ক্লিন
জোন।
রাজ্যকে
এই
তিন
জোনে
ভেঙে
কাজের
ধারা
চলবে।
কোন
জোনে
কী
পরিষেবা
মিলবে
তাও
ঠিক
করে
দেওয়া
হবে।
দোকান ও হকার্স মার্কেট খুলবে, জোড়-বিজোড় নীতি
মমতা বলেন, কন্টেনমেন্ট-এ জোনে বড় দোকান খুলবে না। কন্টেনমেন্ট-বি ও কন্টেনমেন্ট-সি জোনে বড় দোকান খুলবে। ২১ মে থেকে বড় দোকান খোলা হবে। ২৭ মে থেকে খুলবে হকার্স মার্কেট। জোড়-বিজোড় তত্ত্ব মেনে হকার্স মার্কেট খোলা হবে। ভাগ করে একদিন অন্তর খুলবে হকার্স মার্কেট। সামাজিক দূরন্ত মেনেই খুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই হকার্স মার্কেট নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশ কমিশনাররা থাকবেন কমিটিতে। এই কমিটি ঠিক করবে জোড়-বিজোড় তত্ত্ব। কমিটির কথামতো হকার্স মার্কেট খুলতে হবে। কোনওভাবেই একদিনে সবাই খউলতে পারবেন না। মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজেশন মাস্ট। বাজার স্যানিটাইজ করতে হবে নিয়ম করে।
বাস-অটো চালু, খুলবে সেলুন-বিউটি পার্লার
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট বাস চালু হবে ২১ মে থেকে। ২০ জন করে যাত্রী নিয়ে চালানো হবে বাস। চলবে অটোও। অটো চলবে ২৭ মে থেকে। দু'জন করে যাত্রী নিয়ে চলবে অটো। ধীরে ধীরে সমাজিক দূরত্ব মেনে পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল করা হবে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব মেনে খুলবে সেলুন ও বিউটি পার্লার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কার্ফু করা হচ্ছে না রাজ্যে। কিন্তু জমায়েত হলে পুলিশ অ্যাকশান নেবে। কেউ যাতে অপপ্রচার করতে না পারে, তার জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকে সক্রিয় হয়ে আটকে দিতে হবে মিথ্যাচার।