লকডাউন এর জেরে ধান কাটার মজুরি কমেছে, ক্ষতির মুখে চাষিরাও
লকডাউনের জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন জনমজুররা। টানা দেড় মাস লকডাউনের কাজ হারিয়ে আজ তারা ঘর বন্দি।
লকডাউনের জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন জনমজুররা। টানা দেড় মাস লকডাউনের কাজ হারিয়ে আজ তারা ঘর বন্দি। অন্যদিকে এই লকডাউন এর ফলে পারিশ্রমিক কমেছে ক্ষেতমজুরদেরও। ধান কাটার সময় এলে গ্রামবাংলায় যে এক আনন্দের জোয়ার ভাসে। তা বিলীন। কৃষকের ঘরে যেমন ধান ওঠার আনন্দ তেমনি কৃষি মজুররা কয়েক মাসের রসদ সংগ্রহের ঠিকানা খুঁজে পান। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস থাবায় সব কিছুই লন্ডভন্ড। সব আশা ঢেকেছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘে।
সাধারণত এই সময়ে বোরো ধান কাটার মরসুম শুরু হয়েছে। কিন্তু চাষির হাতে টাকা নেই। আবার মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতেই হবে। আবার এই ধান উঠলে চাষ হয়ে থাকে আউশ ধান। বর্ষাকালের আউশ বৃষ্টি নির্ভর ধান জাত। মে-জুনের বৃষ্টিকে অবলম্বন করে আউশের বীজ সরাসরি মাঠে বুনে দেওয়া হয় নয়তো রোপণ করতে হয় এদের চারা। আউশ ধান চৈত্র - বৈশাখে বুনে আষাঢ় - শ্রাবণে কাটা যায়। কিন্তু এবছর করোনা মোকাবিলায় জারি লকডাউন এর জেরে সেই সময়টা অনেকটাই পিছিয়েছে। অন্যদিকে আগের মৌসুমের ধান গম মাঠ থেকে তুলতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছে চাষীদের।
কারণ হঠাৎ বৃষ্টিতে মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হয়েছে তাই যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন চাষীরা। মজুরের পয়সা পাবেন কোথা থেকে? ক্ষেতমজুরদের দেওয়ার পয়সা টুকু অধিকাংশ চাষির নেই। তবুও নিরুপায় হয়ে মাঠের কাজে লাগাতে হচ্ছে ক্ষেতমজুরদের। তাই বাধ্য হয়েই চাষিরা ধান কাটার মজুরি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। আর তার ফলে জনমজুররা পড়েছেন সংকটে। অধিকাংশ জায়গায় মজুর ও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
এই সময়ে বোরো ধান কেটে যে রোজগার করেন তা দিয়ে কয়েক মাস সংসার চালান তারা। এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই কাজ হারিয়েছেন। তার উপর যখন বোরো ধান কাটার সময় এসেছে তখনও মজুরি কমেছে। পাশাপাশি পরিবহন বন্ধ থাকায় দূরেও কাজে যেতে পারছেন না। এই আর্থিক সংকটের ফলে কিভাবে পরিবার নিয়ে তারা দিনগুজরান করবেন তা নিয়ে চরম চিন্তায় পড়েছেন জন মজুররা।