আসনরফা নিয়ে ফের আলোচনায় বাম-কংগ্রেস! অধীরের ওপরে 'চাপ' নাকি শরিকি চাপ কোন পথে সমাধান
নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও রাজ্যে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (bjp) এবং তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। শাসকদলের তরফে সুপ্রিমো নিজের প্রার্থীপদও ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু বাম কংগ্রেসের (left congr
নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও রাজ্যে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (bjp) এবং তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। শাসকদলের তরফে সুপ্রিমো নিজের প্রার্থীপদও ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু বাম কংগ্রেসের (left congress) নেতারা এখনও আসনরফায় পৌঁছতে পারেননি। যা নিয়েই সোমবার ফের আলোচনা হতে চলেছে। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ১৩০ আসনের দাবি করা হয়েছে। তা নিয়েই এদিন ফের আলোচনা হবে।
ধেয়ে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে
কোন শিবিরের হাতে কত আসন চূড়ান্ত হতে পারে
মনের মধ্যে সংশয় থাকলেও, বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। এই মুহুর্তে কংগ্রেস দাবির কাছেই বাধা পেয়েছে বামেরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ১৩০টি আসনের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল বাম নেতৃত্বের কাছে। তবে তাতে রাজি হয়নি বাম নেতৃত্বে। এদিন কোন শিবিরের হাতে কটি আসন থাকবে তা চূড়ান্ত হতে পারে। এদিনের সভা থেকে ব্রিগেডের সভার দিনও চূড়ান্ত হতে পারে।
২০১৬-তে কংগ্রেসকে ৯২ টি আসন ছেড়েছিল বামেরা
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ৯২ টি আসন ছেড়েছিল বামেরা। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। অন্যদিকে বামেরা ২০০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছিল। যেই কারণে ২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস বামেদের থেকে বেশি আসন পেয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ও বামেদের থেকে বহু বিধায়ক দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেয়। আবার তাঁদের মধ্যে অনেকে বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বেশি আসন দাবি কংগ্রেসের
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন। বামেরা একটিও আসন পায়নি। একটি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে বাম প্রার্থীদের জমানত জব্দও হয়েছিল। যেই কারণে কংগ্রেসের তরফে এবারের নির্বাচনে তাদের ক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে ১৩০টি আসন দাবি করা হয়েছে জোটের বৈঠকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধীর চৌধুরী ১৩০ টি আসন দাবি করায় চাপে পড়ে যায় বাম শিবির। মতানৈক্য তৈরি হয় দুই শিবিরেই। বিশেষ করে বাম শরিকরা বেঁকে বসে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির অন্যতম সদস্য নেপাল মাহাত জানিয়েদেন, পুরুলিয়ায় তারা কোনও আসন ছাড়বেন না ফরওয়ার্ড ব্লককে। যার প্রবল প্রতিবাদ করা হয় ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে। কংগ্রেসের অবস্থানের পাল্টা নিজেদের অবস্থানও জানিয়ে দেয় ফরওয়ার্ড ব্লক। শুরু পুরুলিয়াই নয়, মালদহ ও মুর্শিদাবাদেও অনৈক্যের ছবি সামনে এসেছে। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে এই দুই জেলায় তাদের শক্তি বেশি। তাই তারা বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী দেবে।
অধীরের ওপরে চাপ
এবারের আসনরফায় বেশি আসনের দাবি অধীর চৌধুরী অনেক আগে থেকেই করেছিলেন। যা নিয়ে রাজ্য সিপিএম-এর তরফে সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে বলা হয়েছিল। সীতারাম ইয়েচুরি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। এরপর রাহুল গান্ধী রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধীর চৌধুরী ১৩০ আসনের দাবি করলেও, কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে আসনরফা চূড়ান্ত করতে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বামেরা শেষ পর্যন্ত ১১০ টি আসন ছাড়তে রাজি হতে পারে।
আসন ধরে ধরে আলোচনা
এই পরিস্থিতিতে আসন ধরে ধরে আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছে বাম কংগ্রেস উভয় শিবিরই। এদিনের বৈঠকে কে কোন জেলায় কটি আসনে লড়াই করতে চায় সেই তালিকা জমা দেবে। এরপর আসন ধরে ধরে আলোচনা শুরু হবে। আর যদি সোমবারে বৈঠকে আসনরফা চূড়ান্ত না হয়, তাহলে দুই শিবির ফের আলোচনায় বসবে ২৮ জানুয়ারি।