জয়েন্টের পরীক্ষার দিন স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হোক পরীক্ষার্থীকে, রেলকে চিঠি নবান্নের
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এখনও রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন। আর এর মধ্যেই আগামী ১৭ জুলাই রাজ্যে জয়েন্টের পরীক্ষা রয়েছে। এমনিতেই রাস্তাঘাটে বাসের সংখ্যা বেশ কম। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বাস কম বের হচ্ছে রাস্তায়।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এখনও রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন। আর এর মধ্যেই আগামী ১৭ জুলাই রাজ্যে জয়েন্টের পরীক্ষা রয়েছে। এমনিতেই রাস্তাঘাটে বাসের সংখ্যা বেশ কম। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বাস কম বের হচ্ছে রাস্তায়।
এই অবস্থায় পরীক্ষা কেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এবার জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতে বসবে প্রায় ৯৩ হাজার পরীক্ষার্থী। সবার কথা ভেবে পাল্টা জয়েন্ট বোর্ডের তরফেও রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে গণপরিবহণ যাতে সচল থাকে সেই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে রেলকে চিঠি লিখেছেন ফিরহাদ হাকিম। যেখানে পরীক্ষার দিন অর্থাৎ শনিবার পরীক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এই মর্মে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থী নয়, অভিভাবককেও যাতে স্পেশাল ট্রেনে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয় সেই আর্জি রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, সেদিন বাড়তি সরকারি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে।
শুধু শহরে নয়, জেলাতেও এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহণ যাতে ঠিক মতো চলে সেজন্য জেলাশাসকদের নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জয়েন্টের পরীক্ষা হচ্ছে,। সুরক্ষার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা হয়েছে বোর্ডের তরফে।
এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ানো হিয়েছে। বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৭১টি কেন্দ্র।
শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে কাছাকাছি সেন্টার ফেলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনের সময়ে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দিতে হয়েছিল কাছাকাছি সেন্টারের বিষয়ে। সেদিকে নজর রেখে সমস্ত ব্যবস্থা বোর্ডের তরফে করা হয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে স্যাইটাইজ করা হবে।
এছাড়াও আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।