মমতাকে নিয়ে অধীর শিবিরের স্টান্স কি খানিক নমনীয়! কোন ভোট-অঙ্ক জল্পনায়
মমতাকে নিয়ে অধীর শিবিরের স্টান্স কি খানিক নমনীয়! কোন ভোট-অঙ্ক জল্পনায়
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের সময় দর্শকাসন থেকে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি ও পরে মঞ্চে কিছু না বলে মমতার নেমে যাওয়ার ঘটনা রীতিমতো তাৎপর্যবাহী বাংলার ভোট রাজনীতির উঠোনে। একের পর এক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করেছে। তবে এরমধ্যে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য কেন গুরুত্ব পাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে দেখা যাক।
ভিক্টোরিয়া, মমতা ইস্যু ও অধীর
প্রসঙ্গত, ভিক্টোরিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী মুখ খুলে বলেন, 'সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই রয়েছে। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। '
অধীরের মমতার দিক এই সমর্থনের নেপথ্যে কি ভোট অঙ্ক?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রাজমৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মমতা ইস্যু নিয়ে , জননেত্রীর প্রতি কংগ্রেস নেতার সম্পূর্ণ সমর্থনের নেপথ্যে কংগ্রেসের ভোট অঙ্ক রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির বিরোধী মুখ হিসাবে যেহেতু মমতা একজন পোক্ত নাম,তাই কংগ্রেস খুব একটা মমতার কট্টর বিরোধের রাস্তায় যাচ্ছে না। কারণ বাংলা ছাড়িয়ে কংগ্রেসের কাছে সারা ভারতে বিজেপিকে রোখাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে সাম্প্রতিককালে বাম-কংগ্রেস জোট জল্পনা সত্ত্বেও মমতাকে নিয়ে অধীরের বক্তব্য তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
মিম ইস্যু ও অধীর , মমতার শত্রু এক!
প্রসঙ্গত, গ্রাউন্ড জিরো পরিস্থিতি বলছে বাংলার বুকে মিম ফের একবার তৃণমূলের মুসলিম ভোটে ভাগ বসিয়ে দিতে পারে। সেই দিক থেকে অধীরগড় মুর্শিদাবাদেও কংগ্রেসের মুসলিম ভোট আশঙ্কায় থাকতে পারে! আর এই ছবি স্পষ্ট হতেই বোঝাই যাচ্ছে অধীর ও মমতার শত্রু কেবল বিজেপি নয়, বরং মিমের মতো রাজনৈতিক শক্তিও। ফলে সেই জায়গা থেকেও মমতা শিবিরকে খানিকটা নরম মেজাজে ডিফেন্ড করতে দেখা যাচ্ছে অধীরকে।
কংগ্রেস-বামে জোটের ভাবনা কি অধীরের তরফে তৃণমূলকে শিক্ষা?
প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিকে রোখাই যদি অধীরবাহিনীর কাছে মূল উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে কেন বামেদের সঙ্গে হাত মেলানোর দিকে এগিয়ে গেলেন অধীররা? এর উত্তরে উঠে আসছে এক তথ্য। কংগ্রেসের ২০ জন বিধায়ককে তৃণমূল ঘরে তুলেছে। যার ক্ষোভ কংগ্রেসের ঘরে এখনও রয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রদীপ ভট্টাচার্য , রাজীবের পদত্যাগের পর এই দলবদলের রাজনীতি নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ' দিদি আপনার কেমন লাগছে?' প্রসঙ্গ তোলেন তাঁদের বিধায়ককে ভাঙিয়ে তৃণমূলের কলেবর বড় করার পুরনো ঘটনার। আর সেই জায়গা থেকেই মনে করা হচ্ছে , বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত ধরার পথে এগোনে স্রেফ তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে অধীরের পাশার চাল!
রাহুলের বাংলা সফর ও তৃণমূল
শোনা যাচ্ছে কয়েকদিনের মাথায় বঙ্গসফরে আসতে পারেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর সফরসূচিতে বিজেপির পোক্ত জমির কেন্দ্রে যেমন সভা রয়েছে, তেমনই তৃণমূলের পোক্ত জমিতে রয়েছে সভা। তবে শোনা যাচ্ছে যে, রাহুল গান্ধী সম্ভবত এবার এসে তৃণমূলকে কট্টরভাবে আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন। আর তা হলেই কংগ্রেসের অঙ্ক স্পষ্ট হতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
ম্যাথুর হাতে টাকা ভাইপোর! কাকে দিয়ে কীভাবে সুদীপ্ত সেনের চিঠি, বিস্ফোরক শুভেন্দু