GTA নির্বাচন নিয়ে মমতার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা! চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার
জিটিএ (GTA) নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণার বিরোধিত করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gotkha Janamukti Mircha)। জিটিএ চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে তারা। পাশাপাশি গোর্খাদের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের কথাও বলেছে রোশন গিরির দল।

জুনে জিটিএ নির্বাচন
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুনে জিটিএ নির্বাচন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পাহাড় সফরে গিয়ে সেখানে নির্বাচনের ইঙ্গিত করেছিলেন। এবার সেই সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আলাদা রাজ্যের দাবি বাদ না দিয়েই হয়েছিল চুক্তি
দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী তরাই এলাকার বেশ কিছুটা অংশ নিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি দীর্ঘদিনের। ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। যা করা হয়েছিল আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে বাদ না দিয়েই।

চুক্তির বাস্তবায়নের দাবি
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, চুক্তিতে উল্লিখিত বেশিরভাগ অংশই পূরণ হয়নি। ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি এখনও বিভ্রম হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে অবসর গ্রহণের ফলে যেসব বিভাগ হস্তান্তরিত হয়েছে, সেখানেও নিয়োগ হয়নি।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেছেন, একটি কমিটি এখনও গঠন করা বাকি রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল, তরাই-ডুয়ার্সের কোনও কোনও এলাকা জিটিএ-র অধীনে আসতে পারে। ৩৯৬ টি গোর্খা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং গোর্খা মৌজা এখনও জিটিএ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যএ অসন্তোষ রয়েছে বলে দাবি করেছেন রোশন গিরি।

প্রতিশ্রুতি রাখেনি তৃণমূল
রোশন গিরি বলেছেন, গোর্খারা পুরো বিষয়ের রাজনৈতিক সমাধান চায়। তারা কোনও নতুন দাবি তোলেননি বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি তৃণমূল সরকার রাখেনি বলেও অভিযোগ করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই সময় জিজেএম বিজেপির সঙ্গে জোট বাতিল করে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে। জিজেএম-এর তরফে বলা হয়েছে, তাদের দাবি ছিল, বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার। কিন্তু গুরুং-এর বিরুদ্ধে থাকা প্রায় ৫০ টি মামলার মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
