করোনা জয়ী প্রাক্তন সেনা কর্মী বাড়ি ফিরলেন, ফুল-মিষ্টি ও হাততালি সহযোগে অভিনন্দন এলাকাবাসীদের
টানা দশদিন করোনা যুদ্ধে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরলেন বসিরহাট জিরাকপুর নিবাসী বছর পঞ্চাশের প্রাক্তন সেনা কর্মী পরিতোষ মুখার্জি, যিনি আলিপুর কমান্ডো হাসপাতালে করোনা পজিটিভ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। তারিখটা ছিল ২৯ এপ্রিল, যেদিন সকালে চারিদিকে চাউর হয়ে যাওয়া একটি আবরে বসিরহাটের আনাচে কানাচে গুঞ্জন। শোনা গেল বসিরহাটের এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই ব্যক্তিকে প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে কমান্ডো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টানা ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রাক্তন সেনা কর্মী ফিরলেন বাড়ি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, ছেলে,বৌমা। করোনা পজিটিভ ধরার পরে বিশেষ করে বসিরহাট হটস্পট জোন এবং তার বাড়ির চারপাশের প্রায় এক কিলোমিটার কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন ,পাশাপাশি তিনটি বড় বাজার বন্ধ করে দেয়, একদিকে বাড়ি সিল অন্যদিকে ব্যারিকেড করাহয়েছিল মূল রাস্তায়। সবমিলিয়ে বসিরহাট মানুষের কাছে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। সেনা কর্মীর সংস্পর্শে আসা স্ত্রী, বউমা ও ছেলে। দুই চিকিৎসক সহ ৩৫ জন রক্তের নমুনা ও লালা পরীক্ষা করার জন্য কলকাতা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষা করার পর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেয় স্বাস্থ্য দপ্তর।
সব মিলিয়ে প্রাক্তন সেনকর্মী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসায় রীতিমতো আনন্দের মাতলেন বসিরহাটের মানুষ। তার বাড়ির মূল গেটে তাকে ফুলের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা ও হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশিষ্ট সমাজসেবী রানা হালদার ও জয়ন্ত মন্ডল ইতিমধ্যে ওইসব এলাকাগুলোতে বাড়িতে বাড়িতে হোম ডেলিভারি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে ।যাতে মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ঘরে থাকেন , লকডাউন অমান্য করে বাড়ি থেকে না বেড়োয় কেউ।সব মিলিয়ে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে জিরাকপুর গ্রামের মানুষ, পাশাপাশি প্রাক্তন সেনা কর্মী পরিবারের পাশে ছিলেন তারা।
প্রশাসন থেকে মানুষকে বুঝিয়েছেন আতঙ্কিত হবেন না, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, সতর্ক থাকুন, এ লড়াই আমাদের সবার সবাই মিলে করোনা যুদ্ধে জিততে হবে ।আজ শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দমকল বিভাগ ও প্রশাসনের তরফ থেকে পুনরায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়িতে স্যানিটাইজেশন করা হয়। সব মিলিয়ে স্বস্তির খবর বসিরহাটে।