ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! বাংলার ৫ যুবকের মৃত্যু দক্ষিণের মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায়
ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি দেগঙ্গার (deganga) ৫ যুবকের (Youth)। ম্যাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানার (fish processing factory) বর্জ্য সংগ্রহের ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এই পাঁচ জনের। ঘ
ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি দেগঙ্গার (deganga) ৫ যুবকের (Youth)। ম্যাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানার (fish processing factory) বর্জ্য সংগ্রহের ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এই পাঁচ জনের। ঘটনাটি রবিবারের। এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব যোগাযোগ করেন কর্নাটকের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। দেহগুলি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
রবিবার সন্ধেয় দুর্ঘটনা
পুলিশ কমিশনার এন শশীকুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ম্যাঙ্গালুরুর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতাধীন বাজপে থানার ফিস প্রসেসিং ইউনিটে রবিবার সন্ধে ৬.১০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বর্জ্য সংগ্রহের ট্যাঙ্কে পড়ে যান এক শ্রমিক। তাঁকে উদ্ধারে সেখানে যান আরও আটজন। ৯ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মৃতরা উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা
ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, নিজামুদ্দিন আলি, সামিউল ইসলাম, ওমর ফারুকের মৃত্যু হয় রবিবার অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল রাতে। আর ১৮ এপ্রিল সকালে হাসপাতালে মারা যান মিরাজুল ইসলাম এবং সারাফত আলি। এঁদের মধ্যে নিজামুদ্দিনই প্রথমে ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিন আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রায়পুরে বাসিন্দা। ওমর ফারুক, সামিউল ইসলাম নূরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা। মিরাজুল এবং সারাফত দেগঙ্গার একনম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দোগাছিয়ার বাসিন্দা।
গ্রেফতার ৪
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব না হলেও, মৃতদের নাক ও মুখের ভিতর থেকে মাছের বর্জ্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের তরফে কারখানার ৪ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রোডাকশন ম্যানেজার রুবি জোসেফ, এরিয়া ম্যানেজার কুবের গাদে, সুপারভাইজার মগঃ আনোয়ার এবং শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফারুক নামে এক ব্যক্তি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪, ৩৩৭, ৩৩৮ এবং ৩০৪ ধারায় ওই ফিস প্রসেসিং ইউনিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে শ্রমিকদের সতর্কতা মূলক কোনও ব্যবস্থাই ওই ইউনিটে ছিল না। যা থাকলে মৃত্যু এড়ানো যেত। আপাতত ওই ইউনিটটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়েই ওমর ফারুকের ভাই রাকিবুল গোয়া থেকে ম্যাঙ্গালোরে যান। তিনি জানিয়েছেন ওমর ফারুক গত আটমাস ওই কারখানায় কাজ করছিলেন। তাঁর দুমাসের একটি সন্তান রয়েছে।
পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য
জানা গিয়েছে, ওই ফিস প্রসেসিং ইউনিটে কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৩১ জন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মৃত পাঁচ যুবকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।