আরও কঠোর কমিশন, এবার নিষেধাজ্ঞা সায়ন্তন-সুজাতার বিরুদ্ধে
এবার নির্বাচন কমিশন (election commission) আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের (model code of conduct) অভিযোগে বিজেপির (bjp) একজন এবং তৃণমূলের (trinamool congress) একজনের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা লজারি করেছে। এঁরা হলেন, বিজেপি নেতা স
এবার নির্বাচন কমিশন (election commission) আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের (model code of conduct) অভিযোগে বিজেপির (bjp) একজন এবং তৃণমূলের (trinamool congress) একজনের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা লজারি করেছে। এঁরা হলেন, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (sayantan basu), এবং আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খান (sujata mondal khan) । দুজনের ওপরেই ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা বলবত করা করা হয়েছে।
দুজনের ওপরেই ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর ওপরে ২৪ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে রবিবার রাত সাতটা থেকে সোমবার রাত সাতটা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দুজনের কেউই কোনও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। দুজনকেই তাঁদের মন্তব্যের জন্য শোকজ করেছিল কমিশনষ সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন।
শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে সায়ন্তন বসু
কোচবিহারের শীতলকুচিতে চতুর্থদফার নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সায়ন্তন বসু বলেছিলেন খেলা বেশি খেলতে যেও না শীতলকুচি খেলে দেবো। জলপাইগুড়ির বানারহাটের সভায় এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জীবনের প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া আনন্দ বর্মনকে তৃণমূল হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সায়ন্তন বসু। সেই সভায় শোলে সিনেমার ডায়লগও বলেছিলেন তিনি। সায়ন্তন বসু বলেছিলেন, তুমি একটা মারলে আমরা চারটে মারব, শীতলকুচি তার সাক্ষী থাকল। এই মন্তব্য নিয়ে কমিশনের তরফে শোকজ করা হয়েছিল এই বিজেপি নেতাকে।
তপশিলিদের নিয়ে সুজাতা মণ্ডল খাঁ
তৃতীয় দফায় আরামবাগ কেন্দ্রে ভোটের দিন একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটেছেন সুজাতা। একদিকে যেমন তাঁর বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে, অন্যদিকে হামলা থেকে বাঁচতে তাঁকে মাঠের আল ধরে ছুটতেও দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে তিনি সাংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেন আরামবাগের তফশিলি জাতির ভোটাররা হচ্ছে ভিখারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্য অনেক কিছু করলেও, সামান্য কিছু টাকার জন্য তাঁরা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। যা নিয়ে জিবেতির তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
এর আগে দিলীপ ঘোষ-মমতার প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচারের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার প্রচারের ওপরেও। এঁদের সবার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ ছিলেন এইসব নেতানেত্রীরা।
পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা, বিজেপির সঙ্গে নিজের পার্থক্য বোঝালেন তৃণমূল সুপ্রিমো