স্থানীয় যুবকের মহানুভবতা, লগ্নভ্রষ্টা হওয়া থেকে বাঁচল শিলিগুড়ির যুবতী
স্থানীয় এক যুবকের মহানুভবতায় লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে বাঁচল শিলিগুড়ির এক যুবতী। বিয়ের দিন সাত সকালে পাত্রের আত্মহত্যার খবর যায় কন্যার বাড়িতে। প্রথমে ভেঙে পড়লেও, বেলা বাড়তেই নতুন পাত্রের খবর যায়।
স্থানীয় এক যুবকের মহানুভবতায় লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে বাঁচল শিলিগুড়ির এক যুবতী। বিয়ের দিন সাত সকালে পাত্রের আত্মহত্যার খবর যায় কন্যার বাড়িতে। প্রথমে ভেঙে পড়লেও, বেলা বাড়তেই নতুন পাত্রের খবর মেলে। চারহাত এক হয় একই লগ্নে।
মাস তিনেক আগে শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা জয়দেব ঘোষের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় নন্দিতা দাসের। নন্দিতা মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিল। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর রীতিমতো দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগও বাড়ে। তবে বিয়ের দিন সকালে আসে দুঃসংবাদ। পাত্রের বাড়ি থেকে ফোনে জানানো হয় জয়দেব আত্মহত্যা করেছেন। মুহূতেই মেয়ের বাড়ির আনন্দ মাটি হয়ে যায়। ভেঙে পড়েন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার ভয় গ্রাস করে নন্দিতা ও তাঁর পরিবারকে।
তবে ভাঙনের মধ্যে গঠনের মতোই নন্দিতার বাড়িতে আসেন একদল ব্যক্তি। পূর্বের পাত্র জয়দেব ঘোষের পাড়া থেকে। জয়দেবের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানকারই গোপু সরকার নামে এক ব্যক্তি তাঁর শ্যালক প্রদীপ দামের জন্য প্রস্তাব পাঠান। রাজি হয়ে যায় নন্দিতা এবং তাঁর পরিবারও। নতুন করে বিয়ের সম্বন্ধ আর সন্ধেতেই বিয়ে। সেই আগের লগ্নেই।
জানা গিয়েছে জয়দেব ঘোষের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন গোপু সরকার। তিনিই তাঁর শ্যালকের সঙ্গে কথা বলে রাজি করান। সায় দেন শ্যালক প্রদীপ দামও। নতুন পাত্রের বাড়ির প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান পাত্রীর পরিবারও।