বহিরাগত তত্ত্ব তৃণমূলের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ, অর্পিতার পদত্যাগ নিয়ে নিশানা বিজেপির রাজ্য সভাপতির
বুধবার হঠাৎই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে দিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দেন তৃণমূলের (trinamool congress) অর্পিতা ঘোষ (arpita ghosh)। যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। তবে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) কা
বুধবার হঠাৎই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে দিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দেন তৃণমূলের (trinamool congress) অর্পিতা ঘোষ (arpita ghosh)। যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। তবে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) কাছে চিঠি লিখে দলের জন্য সাংগঠনিক কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) অর্পিতা ঘোষের পদত্যাগে বহিরাগত তত্ত্ব খাড়া করেছেন।
সাংসদ পদে ইস্তফা অর্পিতার
রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষের। ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হলেও, ২০১৯-এর নির্বাচনে হেরে যান তিনি। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। বুধবার তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছে। ২০১৬ পর্যন্ত সাংসদপদের মেয়াদ থাকলেও, তিনি কেন ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এর পিছনে বিরোধীরা অবশ্য ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণই দেখছেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি
অর্পিতা ঘোষ শুধু রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফাই নয়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তিনি বাংলায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে চান। তিনি চিঠিতে বলেছেন, বাংলায় দলের কাজের সুযোগ করে দিলে, তিনি সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজই করতে চান। রাজ্যে কাজ করতে পারলে তিনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন বলেও লেখেন চিঠিতে। লোকসভার সাংসদ থেকে শুরু করে দলের জেলা সভাপতি পরে রাজ্যসভার সাংসদপদ দল তাঁকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। যার জন্য তিনি দলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
দলেই অর্পিতাকে নিয়ে প্রশ্ন
অর্পিতা ঘোষের পদত্যাগ প্রসঙ্গে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, খবর পেয়ে তিনি অর্পিতা ঘোষকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি ধরেননি। ঘটনায় তিনি ব্যথিত। অর্পিতা ঘোষকে তিনি লড়াকু মেয়ে বলেও বর্ণনা করেছেন। তাঁর ইস্তফার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকা উচিত নয় বলেো মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়।
তৃণমূলে বহিরাগতদের দাপট
এদিন
প্রাতর্ভ্রমণে
বেরনো
দিলীপ
ঘোষকে
অর্পিতা
ঘোষের
পদত্যাগ
নিয়ে
প্রশ্ন
করা
হলে,
তিনি
বলেন,
বাইরের
রাজ্য
থেকে
নতুন
লোককে
সুযোগ
দেওয়া
হচ্ছে,
সেই
কারণেই
ইস্তফা।
কটাক্ষ
করে
তিনি
বলেছেন,
অর্পিতা
ঘোষের
জায়গায়
নতুন
লোককে
পাঠানো
হচ্ছে।
বিজেপির
রাজ্য
সভাপতি
বলেছেন,
অর্পিতা
ঘোষ
দলকে
অনেক
কিছুই
দিয়েছেন।
তিনি
সাংসদ,
জেলা
প্রেসিডেন্ট
হয়েছেন,
রাজ্য
সভাতেও
ছিলেন।
এবার
তাঁর
জায়গায়
নতুন
লোককে
সুযোগ
দেওয়া
হচ্ছে।
এর
আগে
বিজেপির
তরফ
থেকে
ত্রিপুরায়
তৃণমূলের
আন্দোলন
নিয়ে
বহিরাগত
তত্ত্ব
আনা
হয়েছিল।
কেননা
ত্রিপুরায়
প্রথমে
পাঠানো
হয়েছিল
প্রশান্ত
কিশোরের
আইপ্যাকের
সদস্যদের।
তারপর
সেখানে
যান
ঋতব্রত
বন্দ্যোপাধ্যায়,
কুণাল
ঘোষ,
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়,
দেবাংশু
ভট্টাচার্যরা।
সেখানে
তৃণমূলের
আন্দোলন
করার
লোক
নেই,
তাই
অন্য
রাজ্য
থেকে
লোক
নিয়ে
যাওয়ার
ব্যাপারে
কটাক্ষ
করা
হয়েছিল
বিজেপির
তরফে।
সুম্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে
২০২১-এ রাজ্যে কার্যত নরেন্দ্র মোদীকে পরাজিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তাদের লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তবে তার আগে ২০২৩-এ ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা। সেখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। দিন কয়েক আগে সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে এই রাজ্য থেকে মানস ভুঁইঞার ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভার আসনে মনোনয়ন দিয়েছে সুস্মিতা দেবকে। আগে কেডি সিং-এর মতো বাইরের রাজ্যের নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাইরের রাজ্যের কাউকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয়নি তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগত তত্ত্ব
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে বারে বারে বহিরাগত তত্ত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেননা উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের সংগঠনের নেতাদের এই বাংলায় পাঠিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বারবার এই রাজ্যে আসতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফে রাজ্যে বহিরাগত তত্ত্বের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রাজ্যে বিজেপির শক্তি নেই, বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে চাইছে।
Daily News Update: তালিবান শিবিরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, যোগী রাজ্যে মৃত্যুর ৪ মাস পরে ভ্যাকসিন