'তালিবানি বাড়বাড়ন্তে অক্সিজেন পেয়েই হিন্দুদের উপর হামলা বাংলাদেশি জঙ্গিদের', বিস্ফোরক দিলীপ
আফগানিস্তানের তালিবানি বাড়বাড়ন্তে অক্সিজেন পেয়েই হিন্দুদের উপর হামলা বাংলাদেশি জঙ্গিদের! বিস্ফোরক দিলীপ
বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতে উদ্বিগ্ন বিজেপি। ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কলকাতায় একাধিক সংগঠন সংখ্যালঘু আক্রান্ত ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে নেমেছে। শুধু তাই নয়, সোমবার এই ঘটনায় কলকাতায় থাকা বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। সে দেশে হওয়া ঘটনার বিচার চেয়ে হাই কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনাকে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতে আজ মঙ্গলবার ধর্নায় বসেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকাল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের তালিবানদের বাড়বাড়ন্তকেই দায়ি করেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, আফগানিস্তানের তালিবানদের বাড়বাড়ন্তের কারনে নতুন করে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আর সেই কারনে সেখানে হিন্দুদের উপর হামলা বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।
পিসি-ভাইপোর সঙ্গে কি ডিল হয়েছে প্রকাশ করুন, আসানসোলে জয়ের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বাবুলকে বার্তা শুভেন্দুর
দিলীপ ঘোষের মতে, অগস্টের শেষে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত হয়। আর এরপরেই কাবুলে একাধিক সংখ্যালঘু মানুষ সে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছে। অন্যান্য দেশে তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছে। এদিন দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতা। বেঙ্গলি হিন্দু বাঁচাও সমিতির ব্যানারে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানে উওস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা অর্নিবান গাঙ্গুলিও। দিলীপ ঘোষ এদিন আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে বারবার আঘাত পেতে হচ্ছে হিন্দুদের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে হিন্দুরা বহু ত্যাগ করেছিল। ফলে কখনই তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যাওয়া উচিৎ নয়। সে দেশের সরকারের উচিৎ হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। দাবি দিলীপ ঘোষের।
অন্যদিকে মোদীকে আক্রমণ তৃণমূলের। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কেন নিস্ক্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোদী? প্রশ্ন তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'র সম্পাদকীয়তে। একেবারে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টার্গেট করে এই সম্পাদকীয় লেখা রয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর চুপ থাকার কারণ কি রাজনীতি? এমন প্রশ্নও তোলা হয়েছে জাগো বাংলার ওই প্রতিবেদনে। ''বাংলাদেশের হৃদয় হতে'', নামক সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মোদীকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। শুধু মোদী নয়, বিজেপিকেও তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে জাগো বাংলাতে। বাংলাদেশের এই ঘটনাতে পথে নেমেছে বিজেপি। আর এই ধরনের রাজনীতিকে শকুনের রাজনীতি বলেও তোপ দাগা হয়েছে শাসকদলের এই মুখপত্রে।