চিরাচরিত রীতিতে কুড়চি ফুলের মালা পরিয়ে হল সন্ধিপুজো! সঙ্গে থাকে রঙ্গনের মালাও
সন্ধিপুজোয় অপরাজিতা ফুলের ব্যবহার সর্বজনবিদিত। কিন্তু হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের পালবাড়ির সন্ধিপুজো এ ব্যাপারে একেবারেই ব্যতিক্রম। পাল বাড়িতে সন্ধিপুজো হয় মা দুর্গাকে কুড়চি ফুলের মালা পরিয়ে।
সন্ধিপুজোয় অপরাজিতা ফুলের ব্যবহার সর্বজনবিদিত। কিন্তু হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের পালবাড়ির সন্ধিপুজো এ ব্যাপারে একেবারেই ব্যতিক্রম। পাল বাড়িতে সন্ধিপুজো হয় মা দুর্গাকে কুড়চি ফুলের মালা পরিয়ে। বলিদানের সময় দেবীর গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় রঙ্গন ফুলের মালাও। চিরাচরিত এই রীতি চলে আসছে আজও।
তিন শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো। প্রচলিত আছে, কুড়চি ফুলের মালা না পরালে সন্ধিপুজোই সিদ্ধ নয় এ বাড়িতে। এই বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে বাড়ির প্রবীণদের। তাই এই ধারায় অন্যথা করা হয় না কখনও। উদয়নারায়পুরের কুড়চি গ্রামের পালবাড়িতে কুড়চি আর রঙ্গন ফুলের গাঁথা মালা প্রকৃতি পুজোর অনুষঙ্গ হিসেবেই ব্যবহার হয়।
বাড়ির বর্তমান সদস্যরা জানান, বিগত ৯০ বছর ধরে টানা চলছে এই পুজো। ৯০ বছর আগে অপেরা পাল এই পুজো নতুন করে প্রচলন করেন। এই দুর্গাপুজো উপলক্ষে পালবাড়ির ৩০টিরও বেশি পরিবার মিলিত হন গ্রামের বাড়িতে। এদের বেশিরভাগই এখন শহরবাসী। কিন্তু দুর্গাপুজো গ্রামের বাড়িতে আসা চাই-ই।
বিরাট দুর্গা দালান প্রাচীন ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে চলেছেন। এ গ্রামে গেলেই প্রাচীনত্বের ছোঁয়া পরতে পরতে উপলব্ধি হবে। দুর্গাদালান, নাটমন্দির, শিবমন্দির, আর সীতারামের মন্দির নিয়ে পালবাড়ির দেবালয়ের ঐতিহ্য স্মারক হয়ে রয়েছে কুড়চি গ্রামে। পালবাড়ির দেবালয়ে সবদেবদেবীই নিত্যপূজিত হন। তারপর দুর্গাপুজো কদিনও সব মন্দিরেই অতি-উপাচারে পুজো হয়।