বিভাজন তৈরির চেষ্টা রাজ্যপাল ধনখড়ের! প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন ডেপুটি স্পিকার
বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একাধিক বিতর্কের পর আজ বুধবার বিধায়ক হিসাবে শপথ নেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। আর এরপরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মারাত্
বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একাধিক বিতর্কের পর আজ বুধবার বিধায়ক হিসাবে শপথ নেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। আর এরপরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন তিনি।
একেবারে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন রামপুরহাটের বিধায়ক। যা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে নতুন করে রাজভবন-বিধানসভা সংঘাত তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এক হয়েই কাজ করব বলেও বার্তা ডেপুটি স্পিকারের
বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসাবে এদিন বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করান ডেপুটি স্পিকার। আগেই বাবুল সুপ্রিয়কে বিধায়ক হিসাবে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপাল তাঁকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তা অবশ্য মুখের উপর না করে দেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে আরও তীব্র হয় জটিলতা। যদিও শেষমেশ শপথ বাক্য পাঠ করাতে রাজি হন তিনি। আর সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই আশিসবাবু বলেন, রাজ্যপাল আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা সবাই এক। এক হয়েই কাজ করব বলেও বার্তা ডেপুটি স্পিকারের।
বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও রাজ্যপালকে বার্তা ডেপুটি স্পিকারকে।
তবে এদিন কেন তিনি বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ বাক্য পাঠ করালেন? সেই প্রসঙ্গে রামপুরহাটের বিধায়ক বলেন, স্পিকারের অনুরোধে তিনি এই কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিধায়কের শপথ না হওয়ার কারণে অনেক কাজ আটকে ছিল। অবশেষে বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠিত হল বলে মন্তব্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন যেভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শাসকদলের এই বিধায়ক যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও রাজ্যপালকে বার্তা ডেপুটি স্পিকারকে।
নির্বাচিত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ২৫ দিন
বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ২৫ দিন। তারপর বিধানসভার সদস্য হিসেবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিলেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুলের পথ চলা শুরু হল তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বিধানসভায় শপথ নেন বালিগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচিত সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। শপথ নিয়েই বাবুল জানিয়েছেন, মানুষের জন্য কাজ করব। দিদির নির্দেশ মেনেই উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে বালিগঞ্জ বিধানসভাতেও।
মন্ত্রী হতে পারে বাবুল!
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বাবুল জানিয়েছিলেন, দিদির টিমে খেলার জন্যেই তাঁর দলবদল। আর এরপরে সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর সেই আসনটিতে বাবুলকে প্রার্থী করে বিজেপি। বিপুল ভোটে জয় পান। জানা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীদিনে বাবুলকে মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। গুরু দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হতে পারে বলে খবর।