‘নাকরি’ আর কত দূরে! ঘূর্ণিঝড়ের সাম্প্রতিক অবস্থান জানিয়ে সতর্ক করল হাওয়া অফিস
‘বুলবুলে’র পরই বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছিল ‘নাকরি’। দক্ষিণ চিন সাগরে সৃষ্টি হওয়া ‘নাকরি’র অভিমুখ এখনও বিপদ সংকেত দিয়ে চলেছে ভারতীয় উপকূলগুলিকে।
'বুলবুলে'র পরই বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছিল 'নাকরি'। দক্ষিণ চিন সাগরে সৃষ্টি হওয়া 'নাকরি'র অভিমুখ এখনও বিপদ সংকেত দিয়ে চলেছে ভারতীয় উপকূলগুলিকে। হাওয়া অফিস সেই 'নাকরি'র বর্তমান অবস্থান জানিয়ে সতর্কতা জারি করল। তবে 'নাকরি' কতদিনে হানা দিতে পারে ভারতীয় উপকূলে তা স্পষ্ট করে জানাননি আবহবিদরা।
‘নাকরি'র বর্তমান অবস্থান
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ‘নাকরি'র বর্তমান অবস্থান মায়ানমার সাগরে। তা যে কোনও সময়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারে। তাহলেই শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে ‘নাকরি'। আর তা হলে বিপদ বাড়বে ভারতের।
'নাকরি'র অভিমুখ
বর্তমানে মায়ানমার সাগরে অবস্থান করলেও তাঁর অভিমুখ রয়েছে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করলে তা পশ্চিমবঙ্গের দিকেও ধেয়ে আসতে পারে অভিমুখ বদল করে। েই কথা জানিয়ে আবহবিদরা সাবধান করে দিয়েছেন।
বিপদ বাড়বে, যদি...
‘নাকরি'র প্রভাবে এখন ভিয়েতনাম উপকূলে বৃষ্টি চলছে। এরপর দক্ষিণ তাইল্যান্ড হয়ে মায়ানমারের দক্ষিণ ভাগে এসে পৌঁছবে ‘নাকরি'। এই পথ অতিক্রম করতে গিয়ে ‘নাকরি' অনেকটাই শক্তিক্ষয় করে ফেলবে। কিন্তু শক্তি হারানো ‘নাকরি' যদি বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে, তাহলেই বিপদ বাড়বে।
দক্ষিণ চিন সাগর থেকে
দক্ষিণ চিন সাগরে সৃষ্টি হয় ‘নাকরি'র। তা ঘূর্ণাবর্তের রূপে এখন রয়েছে মায়ানমার সাগরে। তা ক্রমশও বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসছে। বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের আগেই যদি নাকরির ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে কোনও বিপদ নেই। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে গেলে বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে নাকরি।