সমবায়ে প্রগতিশীল জোটের কাছে পর্যুদস্ত তৃণমূল-বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে আশার আলো দেখছে বাম-কংগ্রেস
সমবায়ে প্রগতিশীল জোটের কাছে পর্যুদস্ত তৃণমূল-বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে আশার আলো দেখছে বাম-কংগ্রেস
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসকে শূন্য করেছিল পশ্চিমবঙ্গের জনগণ। তারপর অনেক সময় গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির সরকারি বিরোধী দল হলেও, তারা সেভাবে ইস্যু ভিত্তিক বিরোধিতা করতে পারছে না। যার জেরে বিরোধীদের পরিসর দখল করে নিচ্ছে সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন বামেরা। যা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে তিনি ভুল যে কিছু লেখেননি তা ফের একবার প্রকাশিত হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় সমবায় সমিতির নির্বাচনে। তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ছোট পরিসরে এইভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা ঠিক নয়।
সমবায় নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে জয় বাম-কংগ্রেসের
সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরে যেসব সমবায়ে নির্বাচন হয়েছে, তাতে সরকারি দল তৃণমূল কিংবা বিজেপি কেউই একাধিপত্য দেখাতে পারেনি। এবার সেই জেলাতেই ক্ষমতা দেখাল বাম-কংগ্রেসের প্রগতিশীল জোট। কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৪৩ এর মধ্যে ৩৮ পেয়ে খুব ভাল ফল করল প্রগতিশীল জোট।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আশার আলো
এই ফল শুধু সমবায় সমিতি নয় সারা পশ্চিমবঙ্গের দুই রাজনৈতিক শিবিরের কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় আশার আলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে। রবিবার সকাল থেকে কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় সমবায় সমিতি নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হয়। যার আসন সংখ্যা ৪৩ টি। ৪৩ আসনের মধ্যে বাম -কংগ্ৰেসেপ প্রগতিশীল জোট ৪৩ আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। শাসকদল তৃণমূল ১৭ টিআসনে এবং বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ২৮ টি আসনে। রাতে পুরো ফল সামনে আসার পরে দেখা যায়, ৪৩ টি আসনের মধ্যে বাম- কংগ্রেস প্রগতিশীল জোট পেয়েছে ৩৮ টি আসন। আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৪ টি আসন। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ১ টি আসন।
৫ বছর আগেও জিতেছিল প্রগতিশীল জোট
৫ বছর আগে ২০১৭ সালে কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় সমবায় নির্বাচনে ৪০ টি আসনের মধ্যে ৪০ টি আসনেই জয়লাভ করেছিল বাম- কংগ্রেস প্রগতিশীল জোট। তবে গত এই পাঁচ বছরে জেলার রাজনৈতিক সমীকরণের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বাম-কংগ্রেস কোনও আসন না পেলেও, বিজেপি তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে।
সাগরবাড়ের রাজনৈতিক ইতিহাস
সাগড়বাড়ের রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, রাজনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা কংগ্রেসের দখলে ছিল। তবে বর্তমানে সেই এলাকা তৃণমূলের দখলে। সেই পরিস্থিতিতে এই সমবায় সমিতির ক্ষমতার দখল রাখা বাম-কংগ্রেস প্রগতিশীল জোটের কাছে চ্যালেঞ্জের ছিল। এব্যাপারে বাম- কংগ্রেস প্রগতিশীল জোটের নেতা সুরজিৎ মাইতি বলেন, প্রগতিশীল জোট আগামী দিনে আরো ভালো করে বিভিন্ন কাজে সমবায়কে যুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা এলাকায় এই জোটকে অক্ষু্ণ্ণ রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।
তৃণমূল ও বিজেপির অবস্থান
এলাকায় একটি আসনে জয়কেই আশার আলো হিসেবে দেখছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে সমবায় সমিতির ভোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে আগের মতো তারা জয়লাভ করবে বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
লভ্যাংশ কমছে আপেল চাষে , বড় প্রভাব ফেলতে পারে হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে