বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট! কোন সিদ্ধান্তে সিলমোহর কংগ্রেস হাইকমান্ডের, জানালেন অধীর চৌধুরী
বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট! কোন সিদ্ধান্তে সিলমোহর কংগ্রেস হাইকমান্ডের, জানালেন অধীর চৌধুরী
বাংলায় আসন বাম, কংগ্রেস জোটে আর কোনও বাধা রইল না। এদিন কংগ্রেস (congress) হাইকমান্ড এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে বলে জানিয়ে টুইট করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। যা নিয়ে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পড়েছে নানা মন্তব্য।
জোটে জট কাটাতে বৈঠক করেছিলেন রাহুল
পুজোর সময় থেকে রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেসের সম্ভাব্য জোট নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোনও বৈঠকে বলা হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ করা হোক। আবার কোনও বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে অর্ধেক আসন দাবি করা হয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি ছিল বামেদেরষ বিষয়টি নিয়ে সিপিএম-এর রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। তিনি কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। এরপর রাহুল গান্ধী নভেম্বরের শেষের দিকে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছিলেন জোট হচ্ছেই। রাহুল গান্ধী সেই সময় মুর্শিদাবাদ, মালদহ জেলায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি যাতে শেষ মুহূর্তে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের মতো না হয়, সেইকথাও উঠে এসেছিল নভেম্বর শেষে বৈঠকে।
অধীর চৌধুরীর হিসেব
প্রদেশ
কংগ্রেস
সভাপতি
অধীর
চৌধুরী
গত
বেশ
কয়েকটি
নির্বাচনের
পরিসংখ্যান
তুলে
ধরেছিলেন।
তিনি
বলেছিলেন,
২০১৬-র
বিধানসভা
নির্বাচনে
৯০
টি
আসনে
লড়াই
করে
কংগ্রেস
পেয়েছিল
৪৪
টি
আসন।
অন্যদিকে
বামগুলি
মাত্র
৩২
টি
আসন
পেয়েছিল
২০০
টি
আসনে
লড়াই
করে।
২৯৪
আসন
লড়াইয়ের
নিরিখে
রাজ্য
বিধানসভায়
বামেদের
থেকে
বেশি
আসন
পেয়েছিল
কংগ্রেস
।
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
২
টি
আসন
পেয়েছিল
কংগ্রেস।
বামেরা
একটিও
আসন
পায়নি।
একটি
আসন
বাদ
দিয়ে
বাকি
আসনে
বাম
প্রার্থীদের
জমানত
জব্দও
হয়েছিল
বলেও
যুক্তি
তুলে
ধরেছিলেন
অধীর
চৌধুরী।
জল্পনার অবসান
এদিন টুইট করে অধীর চৌধুরী জানিয়ে দেন, বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ফলে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট নিয়ে আর কোনও বাধা রইল না। এনিয় সমস্ত জল্পনার অবসান হল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শুরু হয়ে গিয়েছে যুগ্ম কর্মসূচি
রাজ্যে যে জোট হচ্ছেই, সেব্যাপারে শুরু থেকেই আশাবাদী ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বামদলগুলির সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এব্যাপারে ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে একসঙ্গে কাজ করার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে বামেরাও কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগদান করা শুরু করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য
এদিন অধীর চৌধুরীর টুইটের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পড়তে থাকে নানা মন্তব্য। কেউ বলেন বড় ঘোষণা, কেউ প্রশ্ন করেছেন, এই লড়াইয়ে কংগ্রেস কতগুলি আসনে লড়াই করবে। ১০০ থেকে ১১০ টির কম আসনে কংগ্রেসের লড়াই করা উচিত বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় এক সিদ্ধান্ত আর কেরলে আরেক সিদ্ধান্ত কেন?
মমতা-শুভেন্দু সম্মুখ সমর আসন্ন! অধিকারী দূর্গের 'ফুল'-যুদ্ধে নন্দীগ্রাম কী দেখতে চলেছে