অর্পিতা ঘোষের হয়ে ভোট চাইলেন 'কমিউনিস্ট' অরিন্দম শীল-সুবোধ সরকার
তৃণমূলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে এদিন কলকাতার প্রেসক্লাবে হাজির হলেন নাট্যকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলঘণিষ্ঠ শুভাপ্রসন্ন, জয় গোস্বামী, যোগেন চৌধুরি প্রমুখ। ছিলেন অরিন্দম শীল, সুবোধ সরকারও। আর তাতেই চমকেছেন অনেকে। বাম ঘনিষ্ঠ এই দুই মুখকে বহুবার দেখা গিয়ে তৃণমূলের বিরোধীতায় বামেদের পক্ষে সওয়াল করতে। এই তালিকায় রয়েছেন, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত,মেঘনাদ ভট্টাচার্য প্রমুখ। এরা প্রত্যেকেই বালুরঘাট থেকে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে জেতানোর জন্য আবেদন জানালেন।
অর্পিতার সমর্থনে অরিন্দম শীল ও সুবোধ সরকারের এমন সক্রিয় আবেদনে বিতর্ক দানা বেধেছে। তাদের কথায়, অর্পিতা নাট্যব্যক্তিত্ব, তাছাড়া গত দুবছরে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে বলেই তাঁকে সমর্থন করছেন তাঁরা।
ভোটের আগে বুদ্ধিজীবীদের এমনতরো ভোলবদলে বিতর্ক বাংলার সাংস্কৃতিক মহলেই
অরিন্দম শীল, যিনি এতদিন নিজেকে কমিউনিস্ট বলে দাবি করতেন, সোমবার তার গলায় অন্য সুর শোনা গেল। এদিন তিনি বলেন, সবসময় দরিদ্রদের জন্য উন্নত জীবনযাপন চেয়ে এসেছি। কিন্তু সিপিএম এবং আমার ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আমি আর এগোতে পারব না। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আমার রাজনৈতিক কোনও আকাঙ্কা নেই। দলের হয়ে নয়, অর্পিতাকে মানুষ হিসাবে সমর্থন করতে এসেছি। যদি তিনি জিতে সংসদে যেতে পারেন তাহলে শিল্প সংস্কৃতির কথা, থিয়েটারের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পারবেন।
অনেকটা একই সুর সুবোধবাবুর গলাতেও। তিনি বলেন, আমি নিজের ইচ্ছাতেই অর্পিতাকে সমর্থন করছি। ২০১১ সালেও আমার দৃষ্টিবঙ্গি অন্য ছিল। একন আমি আমার ইচ্ছাতেই এখানে। যদিও ব্রাত্য ও অর্পিতার আমন্ত্রণেই এখানে এসেছি।
নাট্যব্যক্তিত্ব মেঘনাদ ভট্টাচার্যও বামঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তার কথায়, অর্পিতা নাট্যজগত থেকে এসেছে বলেই ওকে সমর্থন করছি। যদি সিপিএম কোনও নাট্য ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী করত তাহলে সেক্ষেত্রে বামপ্রার্থীকেই সমর্থন করতাম।
অরিন্দমের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় খুশি ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, অরিন্দম সংবেদনশীল মানুষ। তিনি এটা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলকে সমর্থন করাটাই যোগ্য হবে। তাই তিনি অর্পিতাকে সমর্থন করতে এসেছেন।
যদিও অরিন্দমের ভোলবদলে অসন্তুষ্ট আর এক নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন। তিনি বলেন, অরিন্দমের ভুল বুঝতে এত সময় লেগে গেল। আসলে সবাই ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়। সে কারণেই ভোটের আগে এই ভোলবদল।