বাংলাদেশিদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে হবে, হুঁশিয়ারি মোদীর
বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের স্রোত নতুন কিছু নয়। রোজই শয়ে শয়ে অনুপ্রবেশকারী চুপিসাড়ে ঢুকে পড়ে এ রাজ্যে। ভাষা একই হওয়ায় বোঝার জো নেই। তার পর পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনীতিক দলগুলিকে টাকা খাইয়ে পেয়ে যায় ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড মায় বাড়ির দলিলও। বেসরকারি মতে, সারা দেশে এই মুহূর্তে অন্তত দু'কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এই সংখ্যা দেড় কোটি! বাকিটা অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে। পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশকারীরা নানা সমস্যা তৈরি করছে। এদের জন্য রাজ্যের অর্থনীতিতে যেমন চাপ বাড়ছে, তেমনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চাকরিবাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার অনুপ্রবেশ রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেও তা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারও আগ্রহ দেখায়নি।
নরেন্দ্র মোদী ভালোই জানেন, অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গ কী ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে! তাই বলেছেন, "লিখে নিন, ১৬ মে-র পর এই বাংলাদেশিদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে তৈরি হতে হবে। এ দেশে আর থাকা চলবে না।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, "ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে আপনি ওদের লাল কার্পেট বিছিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। বিহার, ওডিশা থেকে কেউ এলে আপনার কাছে তারা বহিরাগত। যদিও তারা আমাদের দেশের লোক। আর বাংলাদেশিরা এলে আপনার মুখ চকচক করে ওঠে। এভাবে দেশ চলবে না। আপনার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে আমরা দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।" বোঝা যাচ্ছে, বর্তমান রাজ্য সরকার ইচ্ছা করেই অনুপ্রবেশ বন্ধ করছে না, এটা মনে করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বরাবর কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজেপি। দলের ইস্তাহারেও বিষয়টি রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগেই বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং বলেছেন, "বাংলাদেশ থেকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন কীভাবে এ দেশে ঢুকছে আর পাকাপাকিভাবে বসবাস করছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।" প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অসম ও ত্রিপুরাতেও রয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা। সে ব্যাপারেও সক্রিয় হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি।