প্রাক-শারদোৎসবে ‘ভাষা-বন্দনা’ উলুবেড়িয়া মহাবিদ্যালয়ে, দেবীপক্ষ-বরণ সংস্কৃতময়
রাত পোহালেই পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। মহালয়ার পূণ্যলগ্নে আলোর বেণু বেজে উঠবে বাংলার আকাশে-বাতাসে। তার আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহাবিদ্যালয়ে সূচিত হল দেবীপক্ষের।
রাত পোহালেই পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। মহালয়ার পূণ্যলগ্নে আলোর বেণু বেজে উঠবে বাংলার আকাশে-বাতাসে। তার আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহাবিদ্যালয়ে সূচিত হল দেবীপক্ষের। এক অভিনব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষকে বরণ করে নেওয়া হল শুক্রবার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপিত হল সংস্কৃত ভাষায়।
দেবীপক্ষের সূচনায় দেবভাষাকে অন্য মর্যাদায় নিয়ে গেলেন উলুবেড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রাক শারদোৎসবের এই অনুষ্ঠানটি মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষার পড়ুয়ারা পরিচালনা করলেন সম্পূর্ণ সংস্কৃত ভাষায়। উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল ও অন্যান্য অধ্যাপক-শিক্ষকবৃন্দরা। ছিলেন 'সংস্কৃত ভারতী' নামক সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক প্রণবানন্দও।
'সংস্কৃত ভারতী'র দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক বক্তৃতা দেন সংস্কৃত ভাষায়। তাঁর এই সংস্কৃত বক্তৃতায় সাহস পান মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষার পড়ুয়ারা। তাঁরা এরপর সংস্কৃত ভাষায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপিত করেন। মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষা বিভাগের প্রধান হেমন্ত ত্রিপাঠী দেবী দুর্গার সামনে চণ্ডীপাঠ করেন।
সংস্কৃত ভাষাকে সামনে রেখে এই অভিনব অনুষ্ঠান অন্য মর্যাদা পায় এদিন। এই অনুষ্ঠানকে নিয়ে উন্মাদনাও ছিল কলেজ প্রাঙ্গনে। সংস্কৃত ভাষার বিভাগীয় প্রধান হেমন্ত ত্রিপাঠী বলেন, আমরা প্রতিবারই দেবীপক্ষের সূচনায় এই অনুষ্ঠান করে থাকি। এবার তা সম্পূর্ণ দেবনাগরী ভাষায় উপস্থাপিত করতে পেরে আমরা আপ্লুত।
[দুর্গাপুজো ২০১৯: পুজো প্রস্তুতিতে সেজে উঠছে গৌরিবেড়িয়া সর্বজনীন ]
[ দুর্গাপুজো ২০১৯: বনেদিয়ানা-ঐতিহ্যে অমলিন দশঘরার বিশ্বাস বাড়ির পুজো ]