নয়া জেলা ঝাড়গ্রামের উন্নয়নে ২০০ কোটি বরাদ্দ মুখ্যমন্ত্রীর
২২ তম জেলা হিসেবে রাজ্যের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করল নয়া জেলা ঝাড়গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝাড়গ্রাম ‘স্বাধীন' হল মঙ্গলবার।
ঝাড়গ্রাম, ৪ এপ্রিল : ২২ তম জেলা হিসেবে রাজ্যের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করল নয়া জেলা ঝাড়গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝাড়গ্রাম 'স্বাধীন' হল মঙ্গলবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে বললেন, ঝাড়গ্রামের কাছে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। ঝাড়গ্রামে অনেক রক্ত ঝরেছে, আর নয়। এবার শান্তি প্রতিষ্ঠার দিন। প্রতিবছর ৪ এপ্রিল ঝাড়গ্রামের জন্মদিন পালন করা হবে।
পাহাড়ের পর জঙ্গলমহলও পেল নতুন জেলা। জেলার প্রথম জন্মদিনে ঘিরে এদিন সাজো সাজো রব জঙ্গলমহলে গ্রামেগঞ্জ। ঘরে ঘরে চলছে উৎসব। রাজ্যে নয়া জেলার প্রথম জেলাশাসক হলেন আর অর্জুন ও পুলিশ সুপার হলেন অভিষেক গুপ্ত।
ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন জেলার উন্নয়নে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসীদের মন ছুঁয়ে যেতে এটি মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার স্ট্রোক। এদিন নয়া জেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের ঘোষণা করেন কৃষিজমিতে খাজনা মকুবের কথা।
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'জেলার উন্নয়ন সকলে মিলে কাজ করতে হবে। ২ লক্ষ লোকশিল্পীকে আমরা ইতিমধ্যেই সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছি। এখানকার লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার সমস্ত প্রয়াস জারি রাখবে সরকার। সরকারি প্রচারে এখানকার লোকশিল্পীকে ব্যবহার করা হবে।' এই জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটনের উন্নয়নেও আরও কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই জেলায় রাস্তাঘাটের আরও উন্নয়ন দরকার। এটা আমাদের সরকারের মাথায় রয়েছে। আর্চারি অ্যাকাডেমিকে আরও বড় করে গড়ে তোলা হবে। উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেন বিজেপিকে। বলেন, জঙ্গলমহলে উন্নয়নের টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। ভেদাভেদের রাজনীতি করছে কেন্দ্রের সরকার। আমি ভেদাভেদের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। ভেদাভেদ করে কোনও ভালো কাজ করা আয় না।
এদিনের মঞ্চ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আশাকর্মীদের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ৬০ বছরের আগে কারও চাকরি যাবে না।
এক নজরে নয়া জেলা ঝাড়গ্রাম
জেলা
:
ঝাড়গ্রাম
আয়তন
:
৩
হাজার
২৪
বর্গ
কিলোমিটার
জনসংখ্যা
:
১১
লক্ষ
৩৭
হাজার
১৬৩
(২০১১
জনগণনা
অনুযায়ী)
পুরুষ
:
৫
লক্ষ
৭৫
হাজার
৮৫
জন
মহিলা
:
৫
লক্ষ
৬২
হাজার
৭৮
জন
পুরসভা
:
১টি
গ্রাম
পঞ্চায়েত
:
৭৯টি
পঞ্চায়েত
সমিতি
:
৮টি
ব্লক
:
৮টি
থানা
:
৯টি
মহিলা
থানা
:
১টি
সুপার
স্পেশালিটি
হাসপাতাল
:
৩টি
গ্রামীণ
হাসপাতাল
:
৭টি
ব্লক
প্রাথমিক
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
:
১টি
প্রাথমিক
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
:
২৫টি
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র
:
২১৯টি
প্রাথমিক
স্কুল
:
১
হাজার
২৬০টি
জুনিয়র
হাইস্কুল
:
১৯১টি
মাধ্যমিক
স্কুল
:
২টি
উচ্চমাধ্যমিক
স্কুল
:
১৪২টি
কলেজ
:
১০টি
মহিলা
কলেজ
:
১টি