কয়লা পাচার-কাণ্ডে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর প্রক্রিয়া সিবিআইয়ের, চিঠি ৪ ডিএম-এসপিকে
কয়লা পাচার-কাণ্ডে আরও এক ধাপ এগোল সিবিআই। এবার অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সিবিআই এই মর্মে সহযোগিতার জন্য রাজ্যের চার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি লিখেছে।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে আরও এক ধাপ এগোল সিবিআই। এবার অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সিবিআই এই মর্মে সহযোগিতার জন্য রাজ্যের চার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি লিখেছে। ওই চার জেলায় ৭০টি জায়গায় লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, বর্ধমান, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। শুনানি শেষে সেই আবেদনে সিলমোহর দেয় সিবিআই আদালত।
গত ডিসেম্বরে কয়লা পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে সিবিআই। লালা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। লালার এক সহযোগী নীরজ সিংকেও তলব করা হয়। বেশ কয়েকবার কলকাতা ও পুরুলিয়ায় হানা দিয়ে লালাকে নাগালে পায়নি সিবিআই।
সিবিআইয়ের ধারণা লালা ওরফে অনুপ মাজি মুম্বই পালিয়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সম্পতি বামাপদ দে নামে এক লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে নিজাম প্যালেসে আনা হয়। কয়লা পাচার-কাণ্ডে তাঁর কাছ থেকে অনেক তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।