হাসপাতালের বেডে শুয়েই ‘কন্যাদান’ ক্যানসার আক্রান্ত বাবার, বেনজির ঘটনা হাওড়ায়
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কন্যাদানের বেনজির ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। ক্যানসার আক্রান্ত বাবার ইচ্ছাপূরণে হাসপাতালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন কন্যা দেওতিমা সরকার।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কন্যাদানের বেনজির ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। ক্যানসার আক্রান্ত বাবার ইচ্ছাপূরণে হাসপাতালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন কন্যা দেওতিমা সরকার। চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে হাসপাতালের বেড খানিক সময়ের জন্য হয়ে উঠল ছাদনাতলা। বেডে শুয়ে মেয়ের বিয়ের সার্টিফিকিটে সই করলেন ক্যানসার আক্রান্ত সন্দীপ সরকার।
২০১১ সাল থেকে বরানগরের বাসিন্দা সন্দীপ সরকার জিভের ক্যান্সারে ভুগছেন। তাঁর অপারেশন করাও হয়েছিল। কিন্তু ক্যানসার ততক্ষণে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাঁর বেশিরভাগ সময়ই কাটছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ক্রমেই সময় কমে আসছে সন্দীপবাবুর।
এরই মদ্যে সন্দীপবাবু ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি যদি মেয়ের বিয়েটা দেখে যেতে পারতেন। তাই বাবার ইচ্ছাপূরণ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাওড়ার আন্দুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে আয়োজন করা হয় বিয়ের। বেডে শুয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেটে সই করেন তিনি। তাঁর সামনেই মেয়ে জামাই আংটি পরিয়ে দেয় একে-অপরকে। মালাবদল হয়। মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন সন্দীপবাবু।
দেওতিমা সরকার আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন আনুষ্ঠানিকভাবে। ওইদিন অনকোলজি বিভাগের অধীনে হাসপাতালে ভর্তি বাবাকে নিয়ে যেতে চান। ডাঃ বিবেক আগরওয়াল, ডাঃ চন্দ্রকণ্ঠ এমভি ও ডাঃ প্রদীপকুমার মণ্ডলের কাছে তিনি অনুমতি নিয়েছেন। যদি সুস্থ থাকেন তবে তিনি বাবাকে নিয়ে যাবেন।
হাসপাতালের মধ্যে আইনি বিবাহ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করেছিলেন চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর যাতে সন্দীপ সরকার তাঁর মেয়ের বিয়ের শুভ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতেও তৎপর চিকিৎসকরা।