একুশের আগে গোর্খ্যাল্যান্ড তাস বিজেপির, ভোটের চাল ধরে পাল্টা দিল তৃণমূল
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের বিজেপি গোর্খাল্যান্ড তাস খেলল। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের বিজেপি গোর্খাল্যান্ড তাস খেলল। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। এই মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠি দিয়েছে রাজ্যের সরকার, জিটিএ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে চিঠি দিয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং-রোশন গিরি গোষ্ঠীর দাবি মেনে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
গোর্খাল্যান্ড বৈঠকের ডাক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি চিঠি দিয়ে গোর্খাল্যান্ড বৈঠকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান, রাজ্যের মুখ্যসচিব, জিটিএ চেয়ারম্যান এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতিকে। তবে সভাপতি বলতে কাকে আহ্বান জানানো হয়েছে বিনয় তামাং নাকি বিমল গুরুংকে তা স্পষ্ট নয় চিঠিতে।
বিজেপির ভোটের চাল গোর্খাল্যান্ড
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ভোট এলেই গোর্খাল্যান্ড তাস খেলে। সেইমতোই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে তুলে ধরে পাহাড়ে অশান্তি পাকাতে চায়। এবারও এই বৈঠক ডাকা ভোটের চাল বিজেপির। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই মর্মে বিজেপিকে একহাত নেন।
ভোট নেওয়ার জন্য বিজেপির ফন্দি
গৌতম দেব বলেন, কেন্দ্র গোর্খাদের বোকা বানাচ্ছে। এই বৈঠক স্রেফ ভোটের জন্য। সামনের বছর ভোট, তার আগে গোর্খাদের কাছ থেকে ভোট নেওয়ার জন্য বিজেপি ফন্দি এঁটেছে। জিটিএ প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনীত থাপাও এই মর্মে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
বিমল গুরুংকে চিঠি বিজেপির!
আবার আরও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে বিজেপি সরকারের পাঠানো চিঠি নিয়ে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতিকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু চিঠি দেওয়া হয়েছে দার্জিলিংয়ে গুরুংয়ের অফিসে। তাহলে কি গুরুংকে ডাকা হয়েছে বৈঠকে, যিনি বর্তমানে সভাপতি নন এবং রাজ্য থেকে একপ্রকার বিতাড়িত।
গোর্খাল্যান্ড লোভ দেখিয়ে ভোট!
অভিযোগ, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ড লোভ দেখিয়ে তিনবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। ফের একবার গোর্খাল্যান্ড তাস থেলে ২০২১-এ ফায়দা লুটতে চাইছে। আবারও তারা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুং গোষ্ঠী, জিএনএলএফ ও পাহাড়ের অন্যান্য কয়েকটি দলকে সঙ্ঘব্ধ করতে এই প্ল্যান করেছে।