মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর খাসতালুকে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ, রণক্ষেত্র বীজপুরে জল্পনা তুঙ্গে
করোনা লকডাউনের মধ্যে রাজ্যে রাজনীতি থেমে নেই। সমানে শাসক তৃণমূল আর বিরোধী বিজেপির মধ্যে রাজনীতির কড়চা চলছেই। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। সাংসদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ চলল।
করোনা লকডাউনের মধ্যে রাজ্যে রাজনীতি থেমে নেই। সমানে শাসক তৃণমূল আর বিরোধী বিজেপির মধ্যে রাজনীতির কড়চা চলছেই। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। সাংসদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ চলল। দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। সাংসদকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
শুভ্রাংশুর খাসতালুকে আক্রান্ত
মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের খাসতালুক বলে পরিচিত এই হালিশহর। তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে বীজপুরের অন্তর্গত খাসবাটি এলাকায় শুক্রবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং শনিবার এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি ফিরে যাওয়ার পর আরও এক প্রস্থ সংঘর্ষ বাধে বলে অভিযোগ।
আর্জুনকে হেনস্থা বীজপুরে
সাংসদ অর্জুন সিং ফের তা শুনে এলাকায় গেলে, তৃণমূল নেতা তাঁর গাড়ি আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ। তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অর্জুনের অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালাচ্ছে।
পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হামলার অভিযোগ
অর্জুনের অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতা আমার উপর হামলা চালাল। একজন লোহাচোর এখন বীজপুরের তৃণমূল নেতা হয়েছেন। তাঁকে এসকর্ট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের সামনেই আমাদের ছেলেরা মার খাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়ে লাভ না হলেও, আমরা আইনমাফিক এফআইআর করেছি।
ভাঙচুর হাঙ্গামা করা সাংসদের কাজ নয়
তৃণমূল নেতা অংশুমান রায় এই মর্মে বলেন. সাংসদ এলাকায় এসে দাদাগিরি দেখাচ্ছেন এই কঠিন সময়ে। জনতাই তাঁকে আটকে দিয়েছেন। আর উনি অহেতুক তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। ভাঙচুর হাঙ্গামা করা সাংসদের কাজ নয়। অথচ উনি সেটা করতেই পছন্দ করেন।