পুরনো অস্ত্রেই তৃণমূলের মোকাবিলা, সবং নিয়ে আর কী 'হুমকি' মুকুলের
তৃণমূল কংগ্রেস যদি বুথে বহিরাগত ঢোকায়, তবে বিজেপিও লোক ঢোকাবে। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এমনটাই হুমকি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তনী, বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
তৃণমূল কংগ্রেস যদি বুথে বহিরাগত ঢোকায়, তবে বিজেপিও লোক ঢোকাবে। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এমনটাই হুমকি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তনী, বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বাহিনী ঠিকমতো ব্যবহার না করলে পথে নামার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
[আরও পড়ুন: পরিবর্তনের পরিবর্তন করতে এমনই লড়াই-এ যেতে চলেছেন মুকুল রায়]
গুজরাত, হিমাচলে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে, পশ্চিমবঙ্গে তা হবে না কেন? এমনই প্রশ্ন উঠল বিজেপির সভা থেকে। নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ সভায় মুকুল রায়ের অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্র কসাইখানায় পরিণত হয়েছে।
সভা থেকে কার্যত নির্বাচন কমিশনার আরিজ আফতাবকে হুমকি দেন মুকুল রায়। হঠাৎ কী ভাবে আরিজ আফতাব সিইও হলেন, তা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারের বায়োডাটার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। বর্ধমানের ডিভিশনাল কমিশনার, দার্জিলিং-এর জেলাশাসক, ক্রীড়া দফতর-সহ একাধিক দফতরের সচিব থাকা আরিজ আফতাবের সব তথ্য যে তাঁর কাছে রয়েছে, তা সমাবেশ থেকে পরিষ্কার করে দেন। সবং-এর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার দাবি করে মুকুল রায় বলেন, এই নির্বাচনই শেষ নয়, পরে আরও অনেক নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে এই সিইওকে।
২১ ডিসেম্বর সবং বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই সবং-এ মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁরা বুথে বুথে টহলও দিচ্ছেন।
নির্বাচনের দিন ভোট লুঠের ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দেন মুকুল রায়। নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনের সভা থেকে মুকুল রায় বলেন, ২০০৯ সালে একই জায়গায় তৃণমূলের হয়ে সভা করেছেন তিনি। এরমধ্যে রাজ্যে পালাবদল হলেও, রাজ্যের গণতান্ত্রিক আবহ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ মুকুল রায়ের। সভা থেকে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও কমিশনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন।