বিজেপির কাছ থেকে সিপিএম-এর ভোট বের করতে নয়া উপায়! অনুব্রত-র জেলায় নির্দেশ ঘিরে জল্পনা
সিপিএম-এর ভোট বিজেপিতে যাওয়ার শঙ্কিত তৃণমূল। সামনে না স্বীকার করলেও, কর্মী সভায় এই কথা উঠে আসছে বারবার। এবার তাই উঠে এল বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরে তৃণমূলের কর্মীসভায়।
সিপিএম-এর ভোট বিজেপিতে যাওয়ার শঙ্কিত তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে না স্বীকার করলেও, কর্মী সভায় এই কথা উঠে আসছে বারবার। এবার তাই উঠে এল বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরে তৃণমূলের কর্মীসভায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেখানে বলা হয়েছে, বিজেপিকে দুর্বল করতে প্রয়োজনে সিপিএমকে অক্সিজেন যোগাতে হবে।
বীরভূমে বিরোধী দল বিজেপি
পঞ্চায়েত নির্বাচনে 'উন্নয়নের জোয়ারে' দাঁড়াতে বীরভূমে দাঁড়াতে পারেনি কোনও বিরোধী। কিন্তু একবছরের মধ্যে ফল পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে জেলায় কোনও আসন দখল করতে না পারলেও বীরভূমে বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। সেখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট অন্যসব বিরোধীর থেকে অনেকটাই বেশি।
চিহ্ন নেই সিপিএম, কংগ্রেসের
জেলার বেশিরভাগ জায়গাতেই প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে সিপিএম এবং কংগ্রেসের চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না। আর অনেক বুথেই বিজেপি এগিয়ে ছিল তৃণমূলের থেকে। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মনে।
শঙ্কা কাটাতে তৃণমূলের দাওয়াই
কর্মীদের মন থেকে শঙ্কা দূর করতে দাওয়াই বের করে ফেলেছে তৃণমূল। এবার তারা বিজেপির কাছ থেকে সিপিএম-এর ভোট কাটতে চায়। দরকারে এলাকায় এলাকায় সিপিএমকে অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের তরফে।
অচ্ছুত রাখা যাবে না সিপিএমকে
কর্মী সভায় বীরভূমের তৃণমূল সহ সভাপতি অভিজিত সিনহা বলেছেন, কেষ্টদা বলে দিয়েছেন, সিপিএমকে আর অচ্ছুত রাখা যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় উদাহরণ তুলে ধরে তিনি ভোটের ফারাকওো বুঝিয়েছেন কর্মী সভায়। প্রমাণ করতে চেয়েছেন, সিপিএম-এর ভোট সুইং করে চলে গিয়েছে বিজেপিতে।
অনুব্রত দাওয়াই
বিধানসভা ধরে ধরে কর্মীসভা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের কর্মীদের থেকে জানার চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি। সঙ্গে দিচ্ছেন আশ্বাসও। যাকে অনেকেই দাওয়াই বলছেন। যেমন সিউড়ির কর্মী সভায় অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা যায় সামনের বিধানসভায় ২১ হাজার ভোটে লিড হলে আগামীতে সিউড়ি ২ ব্লকে কোনও কাঁচা রাস্তা থাকবে না।
সিপিএম-এর কটাক্ষ
যদিও দাওয়াই কানে যেতেই কটাক্ষ করেছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তারা বলছেন, এনআরসি থেকে অন্য সব ইস্যুতে পথ রয়েছে সিপিএমই। ফলে কার অক্সিজেন লাগবে, এখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।