ছাত্র-বিক্ষোভে অবরুদ্ধ বিহার, রেলের নিয়োগ-অসঙ্গতির প্রতিবাদে বনধ ঘিরে উত্তাল এলাকা
রেলের চাকরির পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধে উত্তাল হয়ে উঠল বিহার। বনধ সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
রেলের চাকরির পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধে উত্তাল হয়ে উঠল বিহার। বনধ সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অসঙ্গতির অভিযোগে ছাত্রদের ডাকা বনধের সমর্থনে দফায় দফায় বিহারের পাটনায় রাস্তা অবরোধ চলে। অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিহারের রাস্তায় নেমেছে।
ছাত্রদের দাবি, রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেই দাবি তুলে বেশ কয়েকজন ছাত্র বিক্ষোভ শুরু করে। বিহার সরকার রেলওয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটাগরি (এনটিপিসি)-র জন্য দুটি কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রুপ ডি-এর সিবিটি ১-এর ফলাফল ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল। সিবিটি ২-এর প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছিল, নিয়োগের জন্য এই মানদণ্ডটি ২০১৯ সালে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। সরকার বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র একটি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছে। ফলে অন্য পরীক্ষায় বসতে বলা রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অন্যায়। ছাত্ররা রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলার অভিযোগ করেছেন।
আরজেডি বিধায়ক মুকেশ রওশন ও তাঁর সমর্থকরা রামাশিস চকে বিক্ষোভ দেখান সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। মহুয়ার আরজেডি বিধায়কের এই বিক্ষোভ 'বিহার বন্ধ'-এর সমর্থনে। রেলের চাকরির প্রতিবাদে বিহার বনধের সমর্থনে বিরোধী ও এনডিএ সরকারের মিত্ররাও শামিল হয়েছেন।
বিরোধীদের মহাজোটের সমস্ত দলগুলি রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবাদে ছাত্রদের ডাকা বিহার-বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস, সিপিআই এবং সিপিএম। জন অধিকার পার্টির প্রধান পাপ্পু যাদবও সমর্থন করেছেন বনধকে। মহাজোটের দলগুলি দাবি করেছে, প্রতিবাদী ছাত্র বা কোচিং ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত সমস্ত এফআইআর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।
বিহারের ক্ষমতাসীন এনডিএ-র দলগুলির মধ্যে হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)ও বনধেরর জন্য তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এইচএএম বা হামের মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান বলেছে, "এইচএএম প্রধান জিতন রাম মাঞ্জি সবসময় ছাত্র এবং যুবকদের পাশে ছিলেন। এইচএএম নৈতিকভাবে বিহার বনধকে সমর্থন করে।"
বিহারের শাসকদলের একাংশ থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধীদের সমর্থন পেয়ে ছাত্ররা বনধ সমর্থনে রাস্তায় পর্যন্ত নামে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা অবরুদ্ধ করে দেয়। মোড়ে মোড়ে প্রতিবাদী ছাত্ররা ক্ষোভের আগুন জ্বালায়। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রেলওয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে পরীক্ষা নীতির ফারাক তাঁরা মানবেন না।