ভাঙড় : সকাল থেকেই রাস্তা আটকে নতুন করে অবরোধে গ্রামবাসীরা
জমি বিবাদে রণক্ষেত্র ভাঙড়ে পুলিশকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। আলোচনায় চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ পিছু হটতে হল পুলিশকে। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে পুলিশ শূন্য হল ভাঙড়ের গ্রাম।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা , ১৮ জানুয়ারি : সারাদিন খণ্ডযুদ্ধর পরে এখনও থামেনি ভাঙড়ের আন্দোলন। এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় ইট, গাছের গুড়ি ফেলে নতুন করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে এসে পাওয়ার গ্রিডের কাজ বন্ধের কথা বলতে হবে। এই দাবিতেই চলছে আন্দোলন।
জমি বিবাদে রণক্ষেত্র ভাঙড়ে পুলিশকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। আলোচনায় চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ পিছু হটতে হল পুলিশকে। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে পুলিশ শূন্য হল ভাঙড়ের গ্রাম। এইসময় পুলিশের চালানো গুলিতে একজন আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হয়েছেন। গ্রামবাসীদের প্রহারে এক পুলিশ কর্মীও রক্তাক্ত হন।
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প বন্ধ ও তার জমি ফেরতের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন তীব্রতর রূপ নিতে শুরু করে। এদিন প্রবল আকার নেয় প্রতিবাদ আন্দোলন। একেবারে নন্দীগ্রামের কায়দায় এই আন্দোলন চলতে থাকে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয় আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কোনও আলোচনাতেই রাজি হননি।
লাইভ আপডেট দেখুন এখানে
-
ভাঙড়ে
পুলিশ
গুলি
চালায়নি,
গুলি
চালিয়েছে
বহিরাগতরা
।
বললেন
এডিজি
অনুজ
শর্মা
(আইনশৃঙ্খলা)
-
গুলিবিদ্ধ
হয়ে
আরও
একজনের
মৃত্যু
হয়েছে।
-
রাত
বাড়লেও
এখনও
উত্তপ্ত
ভাঙড়।
এখনও
বেশ
কিছু
গাড়িতে
আগুন
জ্বলছে।
ভাঙড়ে
ঢোকার
প্রবেশপথে
আগুন
জ্বালিয়ে
পথ
অবরোধ
করে
রাখা
হয়েছে।
গ্রামবাসীদের
কথায়
এলাকায়
কাউকে
ঢুকতে
দেওয়া
হবে
না
রাতে।
তাই
গ্রামবাসীদের
অনেকেই
গুরুত্বপূর্ণ
মোড়গুলিতে
জড়ো
হয়ে
পাহাড়া
দিচ্ছে।
-
পাওয়ার
হাউসের
ছোটখাটো
কারখানা
হলে
সমস্যা
হতো
না।
তবে
তা
না
করে
পাওয়ার
গ্রিড
করা
হচ্ছে।
এতে
জলা
দমি
কৃষি
জমির
ক্ষতি
হবে।
তা
নিয়েই
বিক্ষোভ
জানালেন
গ্রামবাসীরাই।
[ভাঙড়ে
গুলিবিদ্ধ
গ্রামবাসীর
মৃত্যু,
অভিযোগ
আরাবুলের
দিকে]
-
মৃৃতের
নাম
মফিজুল
খান।
মৃতের
ভাইয়ের
অভিযোগ
আরাবুলের
ছেলেরাই
গুলি
চালিয়েছে।
এই
অভিযোগ
ভিত্তিহীন
বলে
দাবি
করেছেন
আরাবুল।
- ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
- ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ ৪ গ্রামবাসী।
-
পুলিশকে
সংযত
থাকার
নির্দেশ
দেওয়া
হয়
নবান্ন
থেকে।
কলকাতা,
বিধাননগর
কমিশনারেট
এবং
অন্যান্য
কমিশনারেট
থেকে
পাঠানো
হচ্ছে
পুলিশয়।
- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, মানুষের অনিচ্ছায় জোর করে উন্নয়ন হয় না। আমরা তা চাইও না। তবে এর পিছনে মদত দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি যাদের বেনামে জমি রয়েছে। তাই তারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিচ্ছে। যাদবপুরের প্রাক্তনীরাই বা কেন এই ঘটনায় নাগ গলাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।
- মানুষ না চাইলে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। দরকার হলে পাওয়ার গ্রিড অন্য কোথাও করা হবে, টুইট করে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- নবান্নে পুলিশের দেওয়া রিপো৪ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় মদত দিচ্ছে মাওবাদীরা। এছাড়াওযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০-৫০ জন প্রাক্তনীরও মদত রয়েছে এই ঘটনায়।
- জমি আন্দোলন শুরু হয়েছে ভাঙড়ে। অভিযোগ, জোর করে জমি দখল করে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প করা হচ্ছে। এই অবস্থায় নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে ঢুকতেই পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। গ্রামবাসীদের বাধায় তাঁকে ফিরে যেতে হল।
- বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাকে এলাকায় যাওয়ার।
- সোমবার জমি আন্দোলনের নেতা শামসুল হক ওরফে শেখ কালু-সহ দুই নেতাকে গ্রেফতার করায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। জমি ফেরতের দাবিতে এই আন্দোলন চলতে থাকে।
- গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছে।
-
এদিন
পুলিশকে
লক্ষ্য
করে
ইটবৃষ্টি
হয়।
পুলিশও
পাল্টা
লাঠাচার্জ
করে।
উত্তেজিত
জনতাকে
নিয়ন্ত্রণে
আনতে
খামুরাই,
পদ্মপুকুর-সহ
বিভিন্ন
গ্রামে
কাঁদানে
গ্যাস
ছোড়া
হল।