খোলামেলা জায়গায় বিধি মেনে শুরু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়'! স্কুল খোলা নিয়ে বড় বার্তা ব্রাত্যের
গত দুবছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি রয়েছে। বন্ধ হচ্ছে স্কুলের পঠন-পাঠনও। যদিও গত কয়েকদিনের জন্যে স্কুল-কলেজ খোলা হয় কোভিড বিধি মেনেই। কিন্তু হঠাত করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের একবার বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত কিছু।
গত দুবছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি রয়েছে। বন্ধ হচ্ছে স্কুলের পঠন-পাঠনও। যদিও গত কয়েকদিনের জন্যে স্কুল-কলেজ খোলা হয় কোভিড বিধি মেনেই। কিন্তু হঠাত করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের একবার বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত কিছু।
কিন্তু গত কয়েক দফায় অনেক কিছুতে ছাড় দেওয়া হলেও স্কুল খোলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আর সেদিকে তাকিয়ে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' নামে নয়া প্রকল্প রাজ্যের।
সাত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নয়া এই প্রকল্প
দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের দিকে যাচ্ছে না পড়ুয়ারা। করোনা আতঙ্কে বাড়িতেই কাটছে দিন। এতে বাচ্ছাদের একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এমনকি হঠাত করে বদ্ধ ঘরের মধ্যে কচিকাঁচাদের ক্লাস নেওয়া শুরু হলে বিপদ্দজনক হতে পারে পরিস্থিতি। এমনটাই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের। এমনকি পড়াশুনার প্রতি কমছে আগ্রহ। কারন অনেক সময়ে দেখা গিয়েছে অনলাইনে এই সমস্ত প্রাথমিক পড়ুয়ারা মানিয়ে নিতে পারছেন না। সবদিক ভেবেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এহেন পঠনপাঠন। একেবারে করোনা বিধি মেনে খোলা জায়গাতে এই ক্লাস করানো হবে।
খোলা জায়গাতে পড়ানো হবে
৫ থেকে ১০ বছর বয়সীদের এই ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের সরকারি স্কুল শিক্ষক, শিক্ষকাদের এই বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মুলত পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সীদের এমন ভাবে খোলা যাওয়াতে পড়াবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষক, প্যারা টিচার, সহায়ক-সহায়িকা এই উদ্যোগে সামিল হবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
স্কুল খোলা পক্ষে সরকার
এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কেন স্কুল খোলা হচ্ছে না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ সর্বত্র বিদ্রোহ আবিভাবকদের। এই বিষয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত বসুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার স্কুল খোলারই পক্ষে। ধাপে ধাপে আমরা স্কুল খুলে দিতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন বলে জানান ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, এটা নিয়ে অভিভাবকদের বিচলিত না হওয়ার কথাই জানাচ্ছেন তিনি। যথা সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দাবি তাঁর।
স্বাস্থ্যদফতরের সঙ্গে আলোচনা
জানা গিয়েছে স্কুল খোলা নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। গত কয়েকদিন আগেই শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছে। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।