টাকার লোভেই দিদি এবং তার ছেলেকে গলা কেটে খুন করে দুই ভাই! বেহালা-কাণ্ডের কিনারা করল লালবাজার
গত কয়েকদিন আগে কলকাতার বুকে ঘটে যায় এক নৃশংস এক ঘটনা। দেখে কার্যত শিউড়ে ওঠে সমাজ। শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্তে নেমে কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে যান কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা। খুনের কিনারা করতে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর প
গত কয়েকদিন আগে কলকাতার বুকে ঘটে যায় এক নৃশংস এক ঘটনা। দেখে কার্যত শিউড়ে ওঠে সমাজ। শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্তে নেমে কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে যান কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা। খুনের কিনারা করতে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিলেন না তাঁরা।
ফলে বারবার তদন্তে বেগ পেতে থাকেন তদন্তকারীরা। যদিও শেষমেশ বেহালার পর্ণশ্রীর আবাসনে মা-ছেলের রহস্যমৃত্যুর কিনারা করল কলকাতা পুলিশ।
ঘটনার কয়েকদিনের মাথাতেই এই ঘটনার মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল লালবাজার। যা কিনা বড়সড় সাফল্য হিসাবে দেখছেন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনাতে মৃতের দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পর্কে মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। গত কয়েকদিন ধরে পরিবারের সদস্যদের জেরা করছিল লালবাজার। জেরাতে এই দুই ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি দেখা যায়।
এরপর থেকে তাঁদের উপর নজরদারি শুরু করেন আধিকারিকরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বহু অসঙ্গতি। এরপরেই মহেশতলা থানার বাসিন্দা দুই ভাইকে আটক করে লাগাতার জেরা শুরু করে লালবাজারের আধিকারিকরা। লালবাজার সূত্রে খবর, দীর্ঘ জেরাতে ভেঙে পড়ে ওই দুই ভাই। আর এরপরেই জেরাতে দিদিকে খুনের কথা স্বীকার করেছে তাঁরা। আর এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই ভাই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। টাকার জোগান করতে দিদির সোনা গয়নার দিকে নজর ছিল তাঁদের। আর সেই উদ্দেশ্যে খুন বলে জেরায় পুলিশকে ওই দুই ভাই জানিয়েছে দাবি পুলিশের। শুধু তাই নয়, পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, মাকে খুন করার ঘটনা দেখে ফেলেছিল ছেলে। তাই ছেলেকেও খুন করে সন্দীপ ও সঞ্জয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে বেহালার পর্ণশ্রীর ফ্ল্যাটে ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনাম ঘটে। ফ্ল্যাটের দরজা খোলা, খাটের উপরে পড়ে রয়েছে ২টি রক্তাক্ত দেহ। ঘর ভরে গিয়েছে রক্তে। বাড়িতে ঢুকে এই অবস্থা দেখে কার্যত চমকে ওঠেন ব্যাঙ্ক কর্মী তপন মণ্ডল। স্ত্রী এবং সন্তানের এমন অবস্থা দেখে রীতিমত চমকে ওঠেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল, তপনবাবুই সম্ভব্ত এই খুন করিয়েছেন। কিন্তু তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে। তবে শেষমেশ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। লালবাজার জানিয়েছে, ইদানীং দুই ভাইয়ের আর্থিক অনটন চলছিল। বাজারে প্রচুর ঋণও ছিল সঞ্জয়ের। টাকার লোভে এই খুন।