ঢাকা রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসের মূলচক্রী লুকিয়ে পশ্চিমবঙ্গে, বলছে ঢাকা ট্রাইবুন রিপোর্ট
কলকাতা, ১৫ জুলাই : যেভাবে অভিজায় গুলশন এলাকায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ সরকার। যে সমস্ত যুবকরা দেশ থেকে নিখোঁজ হয়েছে তাদের নিয়ে একটি ডাটাবেস তৈরি করে ভারতের সঙ্গে সে তথ্য ভাগ করে নিতে চায় বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্তের সন্ত্রাসদমনেও কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।[গুলশন সন্ত্রাস : ২০ জন পণবন্দিকে খুন করা হয়েছে, মৃত ১ ভারতীয় মহিলাও]
বৃহস্পতিবার কলকাতায় বণিকসভার একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই ঈঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈদেশিক বিষয়ক বরিষ্ঠ উপদেষ্টা গওহর রিজভি। [ বাংলাদেশে হামলাকারী জঙ্গিদের নাম, ছবি প্রকাশ আইএসের মুখপত্রে]
এই অনুষ্ঠানে রিজভি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে যুবকরা নিখোঁজ হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য ভারতের কাছেও জানানো হবে। যাতে এদের খুঁজে বের করতে ভারতেরও সহযোগিতা পাওয়া যায়।
গুলশন হামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মৃত আতঙ্কবাদীদের মধ্যে ৩ জনই স্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষিত পডুয়া ছিল। এবং এরা সবাই কিছুদিন আগে থেকে নিখোঁজ হয়ে ছিল। [ঢাকা সন্ত্রাস: মাদ্রাসা নয়, ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিল 'আততায়ীরা', পরিবারও বিত্তশালী]
ঢাকা ট্রাইবুনের রিপোর্ট বলছে "হোলি আর্টিসান বেকারির জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ডকে শনাক্ত করা গিয়েছে। যারা এই ঘটনার তদন্তে রয়েছে তারা জানিয়েছেন, হামলার প্রায় সাত মাস আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল সে। এবং এখনও পশ্চিমবঙ্গেই সে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। [পশ্চিমবঙ্গেও এবার আইএসের ছায়া! বর্ধমানে আটক যুবকের সিরিয়া-যোগ!]
বাংলায় এখন জেএমবি সদস্য মহম্মদ সুলেমানের জন্য তল্লাসি শুরু করেছে। এই ঘটনায় ১০ দিন আগে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার হওয়া আবু-আল-মুসাকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুলেমনের নাম উঠে এসেছে। মুসার হ্যান্ডলার হয়ে দীর্ঘ ২ বছর ধরে কাজ করছিল সুলেমন।
অনুসন্ধানকারীদের কথায়, গা ঢাকা দেওয়ার আগে সুলেমান মালদহে মুসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মুসা ও সুলেমন ৬ বার দেখা করেছিল।