মরশুম শুরুর আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন অতিথি, কবে থেকে দেখতে পাবেন দর্শকরা জেনে নিন
মরশুম শুরুর আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন অতিথি, কবে থেকে দেখতে পাবেন দর্শকরা জেনে নিন
পুজো পার হলেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় ভিড় বাড়বে। তার আগেই চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর এবার শীতে নাকি আলিপুর চিড়িয়াখানায় দেখা যাবে সবুজ অ্যানাকোন্ডা। মাদ্রাজ থেকে এই বিশেষ প্রজাতির সাপটি নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানকার ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্কে রয়েছে সবুজ অ্যানাকোন্ডা। তবে তার পরিবর্তে চিড়িয়াখানা থেকে একটি শাখামুটি সাপ দেওয়া হবে। বিিনময় প্রাথার ভিত্তিতেই এই সবুজ অ্যানাকোন্ডা ঘরে আনতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা।
করোনা সংক্রমণের কারণে মন্দার বাজার চিড়িয়াখানাতেও। দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল সেটি। পশুপাখিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বিশেষ সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চিড়িয়াখানা। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর খোলা হয় চিড়িয়াখানর দরজা। করোনা বিধি মেনেই দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী চিড়িয়াখানায় ঢুকলেও পশু-পাখিদের থেকে দূরত্ব মেনে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের।
শীতকালে যাতে দর্শকদের আকর্ষণ বাড়ানো যায় সেকারণে শীতের আগেই সবুজ অ্যানাকোন্ডা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। এর আগে মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে হলুদ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে এসেছিল চিড়িয়াখানা। সবুজ অ্যানাকোন্ডার হলুদ অ্যানাকোন্ডার থেকেও অনেক বেশি লম্বা। ওজনও অনেক বেশি। ২০১৯ সালে হলুদ অ্যানাকোন্ডা আনা হয়েছিল। তারপরিবর্ত চারটি শাখামুটি দিয়েিছল আলিপুর চিড়িয়াখানা। জুলাই মাসে সেগুলি সংখ্যায় আরও বেড়েেছ। ৯টি বাচ্ছা দিয়েছে একটি অ্যানাকোন্ডা। তার আগের বছর আবার ১১টি বাচ্চা হয়েছিল অ্যানাকোন্ডার। কাজেই এখন আলিপুর চিড়িয়াখানায় মোট ২০টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা রয়েছে।
এদিকে আবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এখন ২৫টির মতো শাখামুটি সাপ রয়েছে। এর আগেও শাখামুটি সাপ দিয়ে অ্যানাকোন্ডা নিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। এবার সবুজ অ্যানাকোন্ডার জন্য ৩ জোড়া শাখামুটি সাপ দিতে রাজি রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। শীতের মরশুম আসার আগে দর্শক টানতে এই সবুজ অ্যানাকোন্ডা আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা আবহে বিশেষ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রেখেই অ্যানাকোন্ডাগুলিকে আনার বন্দোবস্তকরা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এখনও পুরোটা চূড়ান্ত হয়নি। মাদ্রাজ ক্রোকেডাইল ব্যাঙ্ক সম্মতি জানালেই তারা শাখামুটি পাঠানোর বন্দোবস্ত করবেন বলে জানিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যাতে অ্যানাকোন্ডার কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। শীতে এবার নতুন অতিথিকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে চিড়িয়াখানায় এমনই মনে করা হচ্ছে।