পঞ্চায়েতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রস্তাব গৌতমের, পত্রপাঠ স্বাগত জানিয়ে বার্তা অধীরের
বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। আর তা শুনেই পত্রপাঠ জোট প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন অধীর চৌধুরী।
মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে। এখন তোড়জোড় শুরু হয়েছে ভোটের নয়া নির্ঘণ্ট নিয়ে। এরই মধ্যে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। আর তা শুনেই পত্রপাঠ জোট প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানালেন কংগ্রেসের তরফে কোনও অসুবিধা নেই জোটে।
[আরও পড়ুন:বিজেপির অনলাইন দাবিকেই মান্যতা! হোয়াটস অ্যাপে মনোনয়নকে স্বাগত জানালেন দিলীপ]
সম্প্রতি হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে গৌতম দেব কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অসুস্থতার কারণে। কিন্তু এই পার্টি কংগ্রেসেই সীতারাম ইয়েচুরি জয় ছিনিয়ে এনেছেন। পার্টি লাইন ভেঙে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে সিপিএম যে কংগ্রেসের হাত ধরে চলবে, তা ধার্য হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের একদিন পরই বাংলার সিপিএম নেতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে সওয়াল করলেন।
তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাসের যে জাল ছড়িয়েছে, তা মোকাবিলা করতে সম্মিলিত লড়াইয়ের প্রয়োজন। সন্ত্রাস-হিংসার জেরে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারা যদি সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটে সামিল হয়, তবে শাসকদলকে ঝটকা দেওয়া সম্ভব হতে পারে।
বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কংগ্রেস এই প্রস্তাবে সম্মতি জানাচ্ছে। তাঁদের দলের পক্ষ থেকে কোনও অসুবিধা নেই, রাজ্যে জোট করে শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তিনি আগেও বহুবার বলেছেন, রাজ্যে কংগ্রেসের জন্য বামেদের দরজা খোলা।
এছাড়াও অধীরবাবু বলেন, রাজ্যের বহু জায়গাতেই অলিখিত জোট হয়েছে। নেতৃত্বের দরকার হয়নি। মানুষই তাঁদের প্রয়োজনে বিরোধীদের জোট করে নিয়েছে। এই জোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থার জোট। মানুষ যদি সত্যিকারের জোট গড়ে, সেখানে কোনও শক্তিই তাঁকে আটকাতে পারবে না, আর তৃণমূল তো কোন ছাড়।
তবে এই আশার সঙ্গে আশঙ্কার বার্তাও দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদে আমাদের মারধর করে মনোনয়নই করতে দেওয়া হল না। এখানে সেই জোটের ফায়দা তোলার কোনও জায়গা নেই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। আবার নির্বাচন আসবে তখনই আমরা তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল! উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে রিপোর্ট পেশ করেন অধীর চৌধুরী।
[আরও পড়ুন:মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ছে না, এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল বিজেপি-কংগ্রেস]