ধর্ষণ করে খুন প্রৌঢ়াকে! খামারবাড়ি জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার মৃতদেহ
রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার এলাকার খামারবাড়ি জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ। প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায় মৃতদেহটি। মৃতার নাম নিচু মহাতো। তাঁর বাড়ি খামারবাড়ি এলাকা
রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার এলাকার খামারবাড়ি জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ। প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায় মৃতদেহটি। মৃতার নাম নিচু মহাতো। তাঁর বাড়ি খামারবাড়ি এলাকাতেই। মৃতার পরিবার এবং গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করেছেন যে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে শালবনি থানার পুলিশ। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে যে এই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় পাশের বাসিরাশোল গ্রামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকালে ছাগল চরাতে বাড়ির পেছনে জঙ্গলে গিয়েছিল নিচু মাহত। সন্ধ্যের পরে ছাগলগুলি বাড়িতে ফিরেও আসে। পরে দেখা যায় যে একটি ছাগল নেই। সেই ছাগলের খোঁজে ফের জঙ্গলে যায় নিচু। কিন্তু তারপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। রাত হয়ে গেলেও নিচু না ফেরায় তার খোঁজে জঙ্গলে যায় বাড়ির লোকজন। খোঁজা শুরু করে তারা।
পরে জঙ্গলের মধ্যে তারা দেখে যে প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে রয়েছে নিচুর মৃতদেহ। ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখে তারা। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নিচুর হাতের চুড়ি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় শালবনি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরিবারের দাবি নিচুকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা একটি মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ টিপু হেমব্রম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি বাসিরাশোল। কী কারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।