সাইক্লোনে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার মানুষ! 'দুয়ারে ত্রাণ' চেয়ে আবেদন ৫ লক্ষেরও বেশী
গত কয়েকমাস আগে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন ইয়াস। সরাসরি বাংলাতে আছড়ে না পড়লেও সাইক্লোনের ঝাপটায় কার্যত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত সুন্দরবন সহ উপকূল এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বাঁধ। জল ঢুকে কার্যত বা
গত কয়েকমাস আগে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন ইয়াস। সরাসরি বাংলাতে আছড়ে না পড়লেও সাইক্লোনের ঝাপটায় কার্যত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত সুন্দরবন সহ উপকূল এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বাঁধ। জল ঢুকে কার্যত বানভাসি অবস্থা হয়ে পড়ে।
দিঘা, শঙ্করপুর সহ সমুদ্র এলাকাতেও ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। সাইক্লোন ইয়াসের প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও এখনও অনেক জায়গাতেই মানুষ কষ্টে রয়েছেন। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তোলায়। আর এই অবস্থায় দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মম্যতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাইক্লোন ইয়াসের কারণে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার মানুষ ভয়ঙ্করভাবে ক্ষপ্তিগ্রস্থ হয়েছেন। আর তাদের পাশে থাকতেই 'দুয়ারে ত্রাণে'র ব্যবস্থা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি সরজমিনে ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।
নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি আধিকারিকরা চলতি মাসের তিন তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত এই দুয়ারে ক্যাম্প চালান সরকারি আধিকারিকরা। সেখানেই ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার মানুষের দরখাস্ত জমা পড়েছে। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ইয়াসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ৫ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে সরকারি আধিকারিকদের।
কীভাবে এত আবেদন? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পরিষ্কার হয় ছবিটা। দেখা যায়, সরকারি আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় একজন ব্যক্তি একাধিক আবেদন করেছেন। দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্পে তো বটেই, অন্যান্য প্রশাসনিক অফিসগুলিতেও দরখাস্ত জানিয়েছেন।
সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেই আবেদনগুলিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক জায়গাতে জমা পড়া দরখাস্তগুলিকেও এক জায়গাতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই সরকারি আধিকারিক। একই সঙ্গে ওই সরকারি আধিকারিক তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিডিও এবং এসডিও'এর অধীনে খুব শিঘ্রই সার্ভে চালানো হবে।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছেন, কি কি ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। আর সেই কাজ শেষ হলেও টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। জুলাই মাসের প্রথম থেকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পেয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন সরকারি ওই আধিকারিক।
সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পড়ে যাবে। বলা প্রয়োজন সাইক্লোন ইয়াসের কারণে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলে এখনও মানুষ ঘর ছাড়া। রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।
উল্লেখ্য, আম্ফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ত্রাণের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। গত বার এই টাকা দেওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ ঊঠেছিল।
বিধানসভা ভোটে কার্যত এই বিষয়টিকে ইস্যুও করে বিরোধীরা। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সরকারি ভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা দেবে সরকার।