একটানা ১ বছর বিনামূল্য রেশন! রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানল রূপান্তরকামী সম্প্রদায়
একটানা ১ বছর বিনামূল্য রেশন! রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানল রূপান্তরকামী সম্প্রদায়
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এখনও স্বাভাবিক হয়নি রাস্তাঘাট। ৫ মাসের উপর বন্ধ রেলের চাকা। রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন জারি রয়েছে। এর জেরে কার্যতই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। পাশাপাশি এই পথ চলতি মানুষদের উপর নির্ভর করেই যাদের জীবিকা এই একটানা লকডাউনে সেই রূপান্তরকামী সম্প্রদায়েরও দুর্গতির শেষ নেই। এবার কলকাতার রূপান্তরকামীদের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।
রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা
এদিকে কেন্দ্রের এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার সঙ্গে টক্করে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক ও নিম্নবর্গের মানুষের জন্য আগামী এক বছরের জন্য বিনামূল্য রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে রাজ্যের রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা করে মমতার প্রশাসন। এর এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি কলকাতার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা। যদিও পশ্চিমবঙ্গের রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের একাংশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেও, তাদের অভিযোগ এই ব্যবস্থাটা কদিন আগে করা হলে তারা বেশি উপকৃত হতেন।
রেশন মিললেও দেরি হয়ে গেছে অনেকটাই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরপরই পশ্চিমবঙ্গ রূপান্তরকামী বোর্ডের সদস্য রঞ্জিতা সিনহা জানান, " এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। আমরা এরজন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, কিন্তু এই ব্যবস্থা লকডাউনের প্রথম থেকেই করা হলে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হতাম, কারণ এখন লকডাউন প্রায় শেষেরই পথে"।
কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে বিনামূল্যে রেশনের দাবী রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের
রূপান্তরকামী বোর্ডের সদস্য রঞ্জিতা সিনহা আরও জানান, "আমি আগেই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য বিনামূল্যে রেশনের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। রাজ্য সরকারের তরফে রূপান্তরকামী উন্নয়ন বোর্ডের সম্পূর্ণ নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতে আমরা একবার বিনামূল্যে রেশন পেয়েছিলাম"।
হাজারো পরিবর্তনের পরেও দুর্দশা কাটাছে না রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের
রঞ্জিতা সিনহার অভিযোগ, "সমাজে প্রতিক্ষেত্রেই রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের মানুষেরা অবহেলিত হন। আমরা মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর আমরা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হলেও সামাজিক স্বীকৃতি পাইনা। আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষেরা ট্রাফিক সিগনালে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়"।
আনলক ৩-এ খুলতে চলেছে তাজমহল থেকে আগ্রা ফোর্ট! প্রশাসন কী জানাচ্ছে