অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে ছিটকে গিয়ে উইম্বলডনেও অনিশ্চিত ফেডেরার, অবসর ভাবনাও তৈরি
রজার ফেডেরার ভক্তরা আশ্বস্ত হতে পারেন। চোটের সমস্যায় ২০২১ সালটা মোটেই ভালো যায়নি কিংবদন্তি সুইস টেনিস তারকার। ফেডেরারের অবসর নিয়েও বেশ কয়েক মাস ধরে জল্পনা চলছিল। তবে এবার নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন ফেডেরার। তাঁর কথায়, অবসর নেবেন নিজের ইচ্ছা অনুসারেই। প্রিয় কোর্ট থেকেই গুডবাই জানাবেন টেনিসকে। তবে তার আগে চেষ্টা চালাবেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়েরই।
২০১৮ সালের পর গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিততে না পারায় ফেডেরার দাঁড়িয়ে রয়েছেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামেই। ২০১৯ সালের উইম্বলডনের ফাইনালে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে হেরে যান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে টেনিস শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি। ফরাসি ওপেনে নেমে চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায় নেন। এরপর উইম্বলডনে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হন। তারপর সরে দাঁড়ান অলিম্পিক থেকে এবং হাঁটুর অপারেশনের জন্য ইউএস ওপেনেও অংশ নেননি।
রজার ফেডেরার জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে কোর্টে ফেরার আশা তিনি করছেন না। ২৭ জুন থেকে উইম্বলডন হবে। তবে তাতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনও সংশয় রয়েছে ৪০ বছরের ফেডেরারের মনে। গত জুলাইয়ে উইম্বলডন থেকে বিদায়ের পর টেনিস কোর্টে নামেননি। হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর রিহ্যাব চলছে। ফেডেরার বলেন, আমি উইম্বলডনে নামতে পারলে নিজেই খুব অবাক হব। ধীরে ধীরে দৌড়ানো শুরু করতে পারব জানুয়ারি থেকে। মার্চ বা এপ্রিলের আগে কোর্টে অনুশীলন শুরু করাও সম্ভব হবে না। ২০২২ সালের গ্রীষ্মের আগে তাই প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফেরার প্রত্যাশা করছি না। তবে আমি এখনও কতটা ভালো কিছু করার দক্ষতা রাখি সেটা দেখে নেওয়াই আমার উদ্দেশ্য। নিজের মনমতোই টেনিসকে গুডবাই জানাতে চাই, আর সেটা টেনিস কোর্টে দাঁড়িয়েইয সে কারণেই রিহ্যাব যাতে ভালো হয় সে জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিচ্ছি।
ফেডেরার আরও বলেন, কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে পৌঁছাতে না পারলে জীবনে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে বিষয়টা তেমন নয়। কিন্তু আবার সেই উচ্চতায় পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখি। নিজের প্রতি এখনও বিশ্বাস রয়েছে। এ ধরনের মিরাকলে আমার বিশ্বাস অটুট। ২০২২ সালের মেলবোর্ন পার্কে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। রাফায়েল নাদাল বা নোভাক জকোভিচের সামনে থাকবে রজার ফেডেরারকে টপকে যাওয়ার হাতছানি। তিনজনই ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। পায়ের পাতায় চোট সারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নাদাল। টেনিস অস্ট্রেলিয়া করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের তালিকা প্রকাশ না করা অবধি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন না বিশ্বের ১ নম্বর জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের জন্য সেই দেশে প্রবেশ করতে ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে নিজের ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাননি জকোভিচ।