সিবিআই তদন্তের মধ্যেই সিট বানিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে গরু পাচারকারীদের ধরল পুলিশ
বড়সড় সাফল্য বাঁকুড়া পুলিশের! বড়সড় গরু পাচার রুখে দিল পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা
বড়সড় সাফল্য বাঁকুড়া পুলিশের! বড়সড় গরু পাচার রুখে দিল পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই মুহূর্তে সিবিআইর হাতে গ্রেফতারের পর জেল হেফাজতে রয়েছে।
কড়া নজরদারি চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আর এর মধ্যেই কার্যত প্রত্যেকদিনই গোরু পাচার চলছে রাজ্য। তবে এরর মধ্যেও বড়সড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের।
পাচার রুখতে স্পেশাল এই টিম কাজে নেমে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়া সদর, কোতুলপুর, ছাতনা সহ বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়েই চলছিল। একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছিল। এই অবস্থায় বিষয়টি যথেষ্ট গুরত্ব দিয়ে দেখে পুলিশ। আর এরপরেই বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করে ডিএসপি, ডিএনটি'র নেতৃত্বে তিন থানার আইসি, ওসি ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে 'সিট' গঠন করা হয়। সেই মতো গরু পাচার রুখতে স্পেশাল এই টিম কাজে নেমে পড়ে।
আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে
জানা যাচ্ছে, 'সিটে'র সদস্যরা তদন্তে নামার ১০ দিনের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করে। এর মাঝেই পুলিশের কাছে খবর আসে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার একদল দুস্কৃতী রাত ১২ টার পর বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে গরু চুরি করে সকালের মধ্যে ফের নিজেদের ডেরায় ফিরে যায়। আবার সেই চুরি করা গরুগুলিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করা হয় বলেও তদন্তে চাঞ্চল্যকর তিথ্য উঠে আসে।
নড়েচড়ে বসে 'সিটে'র তদন্তকারী অফিসাররা।
আর এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই একেবারে নড়েচড়ে বসে 'সিটে'র তদন্তকারী অফিসাররা। অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরতে একেবারে ওৎ পেতে থাকেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বালিচকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই ৬ দূস্কৃতিকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজুর করে এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
বড়সড় মাথা আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক ভার্মা এবিষয়ে বলেন, ধৃতরা পুলিশী জেরায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। অভিযুক্তদের ফের পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কিনা সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, বড়সড় এই কেলেঙ্কারিতে বড়সড় মাথা আছে বলেই মনে কজরা হচ্ছে।