আরও এক জেলায় বড় ভাঙনের আভাস তৃণমূলে! রাত হওয়া বৈঠক নিয়ে জল্পনা
আরও এক জেলায় বড় ভাঙনের আভাস তৃণমূলে! রাত হওয়া বৈঠক নিয়ে জল্পনা
এবার কি বড় দলবদল হতে চলেছে বাঁকুড়া? মঙ্গলবার রাতে হওয়া বৈঠককে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই বৈঠকের নেতৃত্বে থাকা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, আপাতত দলবদলের কোনও চিন্তা নেই। অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতিও দলবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধানের বৈঠক
মঙ্গলবার রাতে প্রাক্তন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বৈঠক করেন ১১ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে নিয়ে। যার পর থেকেই বিজেপিতে দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁর দলবদলের কোনও চিন্তা নেই। গত মে মাসে বাঁকুড়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। ২০১৫ সালের ভোটের পর ২৪ আসন বিশিষ্ট বাঁকুড়া পুরসভায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ১২, বামেদের ৫, বিজেপি ২, কংগ্রেস ১ এবং নির্দলীয় ৪। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বামেদের থেকে ২ জন এবং নির্দলীয় তিনজন যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ১৭, বিজেপির ২ , কংগ্রেস ১, নির্দল ১, বাম ৩। তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা দলে ভাঙনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও, মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।
নভেম্বরে পুরপ্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয়েছিল মহাপ্রসাদকে
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বাঁকুড়াতেও বিদায়ী পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে পুর প্রশাসনের পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু গত নভেম্বরে রাজ্যের অন্য দুই পুরসভার সঙ্গে বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক পদে বদল করা হয়। সেই সময় দায়িত্ব দেওয়া হয় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অলকা সেন মজুমদারকে। নতুন গঠিন পুরসভার পরিচালন কমিটি থেকেও পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে। অলকা সেন মজুমদারের সঙ্গে রাখা হয় বিদায়ী উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল এবং জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি গৌতম দাসকে।
২০১৯-এ পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন উপপুরপ্রধান
যদিও এই উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেই সময় কাটমানি ফেরতের ইস্যু জোরদার হয়ে ওঠেছিল। তৎকালীন উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, টেন্ডার ছাড়া পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে একের পর এক রাস্তা তৈরি এবং আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। বছরের পর বছর ধরে তিনি উপপুরপ্রধানকে অন্ধকারে রেখে পুরপ্রধান কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সময় বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক ছিলেন বর্তমানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে অবশ্য দিলীপ আগরওয়াল ফের পদে ফেরেন।
বাঁকুড়ায় আগেও দলবদল
তবে বাঁকুড়ায় দলবদল নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে বাঁকুড়ার ১২ টি আসনের মধ্যে ৫ টিতে জয়লাভ করেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। এই জোটের দুই বিধায়ক কংগ্রেসের শম্পা দরিপা এবং তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ভোটের ফল বেরনোর কয়েকমাসের মধ্যে তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন। তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এরপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে গত অগাস্টে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। চারবছরে তিনবার দলবদল করেন তিনি।
দিল্লি হিংসা, কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে 'দক্ষতার’ পরিচয়! পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিত শাহ