বিশ্বকর্মা পুজোর উপরেও করোনা থাবা! বাঁকুড়ায় মাথায় হাত শিল্পীদের
বিশ্বকর্মা পুজোর উপরেও করোনা থাবা! বাঁকুড়ায় মাথায় হাত শিল্পীদের
রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। পুজো উপলক্ষে প্রতিমা কেনার ঢল নামে বাঁকুড়ার ইন্দাসের কুমোর পাড়ায়। কিন্তু এ বছর করোনার থাবায় উধাও সেই ভিড়। বদলেছে ইন্দাসের কুমোর পাড়ার চিত্রও। প্রতিমা না বিক্রি হয় মাথায় হাত শিল্পীদের।
অন্যান্যবার বিশ্বকর্মা পুজোর আগে থেকেই বায়না পান মৃৎশিল্পীরা। পুজোর আগের দিন পর্যন্ত প্রতিমা কিনতে উপচে পড়া ভিড় থাকে এখানে। আশপাশের জেলা গ্রাম থেকেও প্রতিমা কিনতে মানুষ আসেন এখানে। কিন্তু এ বছর করো না পরিস্থিতির কারণে ছোট-বড় কল-কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় বহু জায়গায় পুজো বন্ধ রয়েছে। প্রতিবছর পাড়ার মোড়ে, অলিতে গলিতে প্যান্ডেল বেঁধে যে বিশ্বকর্মা পুজো দেখা যায় সেই সংখাটাও এবার সামান্য। হৈ হুল্লোড়ও এবার নেই। ফলে চাহিদা নেই বিশ্বকর্মা ঠাকুরের ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের মৃৎশিল্পীরা।
এখানকার মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মা পুজো কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কেনাবেচা হয় নি। আগে থেকে যে অর্ডার প্রতিবার দেওয়া হয়ে থাকে, এবার সেই অডারও নেই। কিছু খরিদ্দারের দেখা মিললেও তারা যে দামে প্রতিমা নিতে চাইছেন তাতে লাভ তো হবেই না, বরং লোকসান। ঠাকুর গড়তে তাদের যে খরচ হয়েছে সেই খরচও উঠবে না। কারণ মাটি বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য গাড়ির ভাড়া অনেক বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় বাঁশ, খড়, সুতলি, রঙের দাম এবার বেশি। এই অবস্থায় কি করব বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।
সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তারা। তারা জানান, এই অবস্থায় সরকারের দ্বারস্থ না হলেই নয়। অবিলম্বে সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য না পেলে সংসার চালানোয় দুষ্কর হয়ে পড়বে ইন্দাসের মৃৎশিল্পীদের।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের