এবার বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি! বাঁকুড়া থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এবার বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি! বাঁকুড়া থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
সামনের বছর থেকে রাজ্যে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি দেওয়া হবে। এদিন বাঁকুড়ার খাতড়ায় সিধু কানু স্টেডিয়ামে সরকারি সভা থেকে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ায় অমিত শাহের আসার সময়ে মূর্তি বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলন। গত বছরে মুখ্যমন্ত্রী ছটপুজোর জন্য আলাদা করে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।
সরকারি কর্মীদের ছুটি বাড়ল
সামনের বছর থেকে এরাজ্যের সরকারি কর্মীদের ছুটির তালিকায় অপর একটি দিন যুক্ত হল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার খাতড়ায় সিধু কানু স্টেডিয়ামে ঘোষণা করেন, আগামী বছর থেকে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি দেওয়া হবে। সাধারণভাবে ১৫ নভেম্বর বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ১৮৭৫-এর ১৫ নভেম্বর তাঁর জন্ম।
ভুল মূর্তিতে মালা দেওয়া নিয়ে অমিত শাহকে আক্রমণ
এমাসের শুরুর দিকে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়া শহরের কাছেই রাস্তার ধারে থাকা এক আদিবাসী শিকারীর মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন অমিত শাহ। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন এঁরা কোনও দিন মূর্তিকে সম্মান করে না। তাঁর অভিযোগ গত বছরে কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙেছিল বিজেপি। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ৫ নভেম্বর শিকারির মূর্তির নিচে বিরসা মুণ্ডার একটি ফটো রাখা হয়েছিল। তাতেই শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল।
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় আসন হারিয়েছে তৃণমূল
তবে শুধু বিরসা মুণ্ডার ভুল মূর্তিতে মালা দেওয়ার জন্য তাঁর জন্মদিনে ছুটি দেওয়ার সরল হিসেব করলে হবে না। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেস জঙ্গলমহলে একের পর এক আসন বিজেপির কাছে খুইয়েছে। যেগুলির বেশিরভাগই তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে রয়েছে, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর। এছাড়াও রয়েছে বাঁকুড়ার মতো অসংরক্ষিত আসনও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এইভাবে সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করে আদিবাসীদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই ২০২১-এর ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ২০২১-এর জন্য সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে পুজোর ছুটি শুরু ১১ অক্টোবর, সোমবার। অফিস খুলবে ২৫ অক্টোবর সোমবার। একেবারে টানা ১৬ দিন। এছাড়াও, জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা, ইদ, হোলি, সরস্বতী পুজো, কালীপুজো-ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, ছটপুজোর ছুটি তো আছেই।
এর আগেই সরকারি কর্মীদের ছুটি বৃদ্ধির জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে জামাইষষ্ঠী, ভাইফোঁটা, শিবরাত্রি, ছটপুজো, ছুটি দিয়েছে সরকার।
কর্মীদের আগেই আম জনতার দুয়ারে মমতা, আদিবাসী বাড়ির উঠোনে বসে জনসংযোগ নেত্রীর