হঠাৎ কন্ডোম বিক্রি বেড়ে গিয়েছে বাংলার এই শহরে! আসল সত্যি চমকে দেওয়ার মতো
হঠাৎ কন্ডোম বিক্রি বেড়ে গিয়েছে বাংলার এই শহরে! আসল সত্যি চমকে দেওয়ার মতো
হঠাৎ করে গত কয়েকদিনে দুর্গাপুরে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অদ্ভুদ একটু লক্ষ্মণ ধরা পড়েছে। যা কার্যত চমকে দিয়েছে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন অংশে হঠাত করে কন্ডোমের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ফ্লেভারড কন্ডোম কিনছেন যুবক সম্প্রদায়। আর তা ঘিরেই একেবারে হইহই কাণ্ড। বিশেষ করে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার, বিধাননগর, বেনাচিটি এবং মুচিপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গাতে ছবিটা এক। হঠাত করে এমন ভাবে কন্ডোমের বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কার্যত চমকে উঠছে স্থানীয় মানুষজন
বিশেষ করে ক্রেতাদের মধ্যে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর সেই কৌতূহল থেকে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী এক ক্রেতাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। ওই ক্রেতা যা জানিয়ছেন তা কার্যত চমকে দেওয়ার মতো। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, নেশা করতেই নাকি প্রত্যেকদিন কন্ডোম কেনা। আর ভয়ঙ্কর এই নেশার কথা জেনে কার্যত চমকে উঠছে স্থানীয় মানুষজন। শুধু তাই নয়, আর এই খবর সামনে আসার পরে কার্যত নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনটাই খবর।
শরীরের জন্যে ভালো নয়
ধীমান মন্ডল, যিনি দুর্গাপুরের ডিভিশনাল হসপিটালে কাজ করেন। তিনি নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কন্ডোম অ্যালকোহল কনটেন থাকে। যা থেকে অ্যালকহল তৈরি করা যেতে পারে। এমনকি তা থেকে নেশাও করা সম্ভব। এমনকি কন্ডোমে এক ধরণের গন্ধ পাওয়া যায় তা নাকি ডেনড্রাইটেও পাওয়া যায়। আর তাই অনেকেই নেশার জন্যে ডেনড্রাইটের মতো আটাকে বেছে নেন। যা মোটেই শরীরের জন্যে ভালো নয় বলছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
কীভাবে নেশার উপাদান হচ্ছে?
অন্যদিকে পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ওই সংবাদমাধ্যমকে বিশ্লেষকরা আরও জানাচ্ছেন, গরম জলে যদি কন্ডোমকে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে জৈব অণুগুলি অ্যালকোহলযুক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হবে। এমনকি কন্ডোমযুক্ত ওই গরম জলও নেশার বস্তুতে পরিণত হচ্ছে বলছেন চিকিৎসকরা। আর সেই জল খেয়েও অনেকে নেশা করছেন বলেও দাবি। যা ক্রমশ নেশার অন্যতম উপাদান হয়ে উঠছে বলেও দাবি পর্যবেক্ষকদের।হঠাত বিক্রি বেড়ে গিয়েছে!
পাশাপাশি
স্থানীয় ওষুধের দোকানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক দিন প্রত্যেক দোকানে তিন থেকে চারটে কন্ডোমের প্যাকেট বিক্রি হতো। কিন্তু এখন মুহূর্তের মধ্যে উড়ে যাচ্ছে কন্ডোমের প্যাকেট। আর সেতাই চিন্তা বাড়িয়েছে বলছেন দোকানদার।
বিপদ লুকিয়ে
সময় বদলাচ্ছে। নেশার ধরনও বদলাচ্ছে। এর আগে টুথপেস্ট এবং জুতো পালিশের কালি দিয়েও নেশা করার ভুরি ভুরি উদাহারণ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি ডেনড্রাইটের মতো আঠা বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল। পরে জানা যায় আঠার গন্ধে নেশায় মত্ত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। এবার আরও এক ধাপ বেরিয়ে কন্ডোম দিয়েও নেশা! হু হু করে এমন দুর্গাপুরে কন্ডোম বিক্রি বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে নতুন প্রজন্ম যেভাবে নেশার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে তাতে বিপদ লুকিয়ে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নজরে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম, জোর লড়াই আম্বানি ও আদানির মধ্যে