পুত্রবধূ নির্যাতনের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে কেস নিল থানা! প্রতাপশালী তৃণমূল বিধায়ক বললেন, বিরোধী চক্রান্ত
শ্বশুর প্রতাপশালী শাসক বিধায়ক, তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেও ফল হয়নি, এমনটাই অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) রাজগঞ্জের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের (Khageswar Roy) পুত্রবধূর।
শ্বশুর প্রতাপশালী শাসক বিধায়ক, তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেও ফল হয়নি, এমনটাই অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) রাজগঞ্জের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের (Khageswar Roy) পুত্রবধূর। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে সেখান থেকেই থানাকে কেস রেজিস্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও পুরো বিষয়টির মধ্যে বিরোধীদের চক্রান্ত দেখছেন তৃণমূল বিধায়ক।
২০১৯-এ বিয়ে
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের পাতিলাভাষায় ২০১৯ সালের মার্চে রাজগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকরের সঙ্গে বিয়ে হয় ময়নাগুড়ির পিঙ্কি রায়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার ওপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। পিঙ্কি গত বছর রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ পুলিশ কেস রেজিস্টারই করেনি।
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ
পিঙ্কি রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়িতে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত। শাশুড়ি তাঁকে গালাগালি করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন পিঙ্কি। এছাড়াও স্বামীও তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ
যাঁর
বিরুদ্ধে
অভিযোগ,
সেই
তৃণমূল
বিধায়ক
খগেশ্বর
রায়
নিজের
বিরুদ্ধে
ওঠা
অভিযোগ
অস্বীকার
করেছেন।
তিনি
এব্যাপারে
বিরোধীদের
বিরুদ্ধে
চক্রান্তের
অভিযোগ
করেছেন।
তাঁর
দাবি
২০২১-এর
বিধানসভা
নির্বাচনের
আগে,
যাতে
তিনি
মনোনয়ন
না
পান
এবং
তা
পাওয়ার
পরেও
যাতে
হেরে
যান
তার
জন্য
চেষ্টা
শুরু
হয়।
আর
কয়েক
দিন
আগে
বিজেপির
মহিলা
মোর্চার
সদস্যরা
তাঁকে
গ্রেফতারের
দাবি
করেন
বলে
জানিয়েছেন
তৃণমূল
বিধায়ক।
অভিযোগ
মিথ্যা
বলেন
দাবি
করে
তৃণমূল
বিধায়ক
বলেছেন,
বিয়ের
পরে
অষ্টমঙ্গলা
পর্যন্ত
ছিল।
তারপর
চলে
যায়।
ফের
আসে।
ফের
তিনমাস
পরে
চলে
যায়।
তিনি
দাবি
করেছেন,
পুত্রবধূকে
ফেরাতে
অনেকেই
গিয়েছিলেন,
কিন্তু
সে
ফিরে
আসেনি।
আইনজীবীর দাবি
পিঙ্কির রায়ের আইনজীবী সৌজিৎ সিং-এর দাবি, পিঙ্কি রায় শ্বশুর বাড়িতে বিয়ের পর থেকে নির্যাতিত। গত দেড় বছর ধরে পিঙ্কি রায় তার শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। এরপর সে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রাজগঞ্জ থানা কেস রেজিস্টার না করে বিষয়টি লিগ্যাল সেলে পাঠিয়ে দেয়। লিগ্যাল এইডে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় রাজগঞ্জ থানায় পুনরায় একটি অভিযোগ করেন পিঙ্কি। তখনও রাজগঞ্জ থানা অভিযোগটি নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর পিঙ্কি রায় পুলিশ সুপারের কাছে যান। কিন্তু সেখানেও সমস্যার সমাধান না হওয়া আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জঙ্গি দমনে সাফল্য জম্মু ও কাশ্মীরে! কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের ২ হত্যাকারী-সহ মৃত্যু ৩ জনের