এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই আচার্য বদল! বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যপালের
এসএসসি নিয়ে নজর ঘোরাতেই আচার্য বদল করা হচ্ছে! বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ রবিবার দার্জিলিং সফরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাহাড়ে পৌঁছানোর আগেই শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। যেখানে একাধিক ইস্য
এসএসসি নিয়ে নজর ঘোরাতেই আচার্য বদল করা হচ্ছে! বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ রবিবার দার্জিলিং সফরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাহাড়ে পৌঁছানোর আগেই শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। যেখানে একাধিক ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করেন। আর সেখানেই আচার্য বদল নিয়ে রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
আর সেই উত্তরেই এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য জগদীপ ধনখড়ের।
সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। দুই মন্ত্রীকে ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। যা নিয়ে চরম অস্বস্তি শাসকদল তৃণমূল। আর এর মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল নয়, হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Siliguri, WB | State of education in WB is alarming. 25 Vice Chancellors were appointed against law. I will examine whether the role of Governor can be curtailed. These are tactics to divert attention from what is happening in (SSC) recruitment scam: Governor Jagdeep Dhankhar pic.twitter.com/y5KgFURlvr
— ANI (@ANI) May 29, 2022
এই সংক্রান্ত বিলও বিধানসভায় নিয়ে আসছে তৃণমূল সরকার। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে যে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত চরমে উঠবে তা প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
আর এর মধ্যেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কার্যত এই ইস্যুতে বোমা ফাটালেন ধনখড়। তাঁর মতে, কৌশলগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত আনা হয়েছে। মূলত এসএসসি দুর্নীতি থেকে সবার নজর ঘরাতেই এহেন পদক্ষেপ বলেও দাবি রাজ্যপালের। তবে আচার্য বদলের বিষয়টি নতুন নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ধনখড় বলেন, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে একেবারে। স্বজনপোষণ হচ্ছে বলেও এদিন মারাত্মক অভিযোগ করেন তিনি।
এমনকি বাছাই ছাড়াও নিয়োগ হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যপালের। আর সেদিকে না দেখে রাজ্যপালের ভূমিকা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে সরকার ভাবছে বলেও কটাক্ষ তাঁর। তবে রাজ্যের অসংখ্য পড়ুয়াদের কথা ভেবে তিনি মোটেও চুপ করে বসে থাকবেন না বলে দাবি ধনখড়ের। আর এরপরেই কার্যত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছুঁড়ে দেন তিনি। বলেন, ''বিল আগে আসুক। না সই করলে অর্ডিন্যান্স হবে?''
অন্যদিকে ভিজিটর পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সে প্রসঙ্গেও ধনখড়কে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাতেও সরকারের ভূমিকা সমালোচনা করে বলেন, উপাচার্যরা ইউনিয়ন তৈরি করছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে সব বড়বড় শিল্পপতিরা বসে আছেন। এতে ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যপালের। তবে ইউজিসি থাকে কিছু ক্ষমতা দিয়েছে। আর তা উল্লেখ করে বলেন, কমিটি গঠন করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখব।
তবে রাজ্যপালের এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। তবে এহেন মন্তব্যের পরেই তীব্র আক্রমণ শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে। রাজ্যপাল বিজেপির সুরেই কথা বলছেন বলে দাবি শাসকের।