নদীর গতিপথ আটকানোর জেরেই দুর্ঘটনা! মালে হড়পা বানে ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে প্রশাসনকে নিশানা সেলিমের
জলপাইগুড়ির মালবাজারে হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন আর পুরসভাকে দায়ী করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। এদিন তিনি এক বিবৃতিতে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে খামখেয়ালিপনা বলেও কটাক্ষ করেছেন। এদিন সকা
জলপাইগুড়ির মালবাজারে হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন আর পুরসভাকে দায়ী করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। এদিন তিনি এক বিবৃতিতে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে খামখেয়ালিপনা বলেও কটাক্ষ করেছেন। এদিন সকালে প্রশাসনের তরফে আট জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হলেও, আর কেউ নিখোঁজ নেই বলে দাবি করা হয়েছে।
দায়ী পুরসভা ও স্থানীয় প্রশাসন
মাল নদীর চড়ে বিসর্জনের ব্যবস্থা করতে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে নদীর গতিপথ আটকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধী সকলের। এব্যাপারে এদিন প্রশাসন এবং মাল পুরসভাকে নিশানা করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মাল মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন ৩১সি জাতীয় সড়কে মাল নদীর ব্রিজের নিচে মাঝে খানিকটা বালির চর রেখে দুদিক দিয়ে বয়ে চলা মাল নদীর পুর এলাকা ঘেঁসে বয়ে যাওয়া ডানদিকের স্রোতকে বালি ও পাথরের বাঁধ দিয়ে আটকে প্রতিমা বিসর্জনের গাড়ি ও মানুষের যাতায়াত-সহ জনসমাগমের ব্যবস্থা করেছিল মাল পুরসভা ও স্থানীয় প্রশাসন। তিনি আরও বলেছেন, শুধু বুধবারই নয়, দিন কয়েক আগেও এই ডানদিকের স্রোত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল।
কার পরামর্শে অস্থায়ী বাঁধ
একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কার পরামর্শে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই কেন কয়েক হাজার মানুষের জন্য মাত্র ৮ জন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী মোতায়েন ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ভারী বৃষ্টিও হয়। তারপরেও কেন প্রশাসনের তরফে সতর্কতা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদ্ধারে তৎপরতা না থাকার অভিযোগ
একদিকে গাফিলতির জেরে দুর্ঘটনা, আর দুর্ঘটনার পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদ্ধারকাজে তৎপরতা না দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে। সিপিআইএম-এর তরফে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে ভোর এমন কী সকালেও ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬ কিমি দূর পর্যন্ত দু'পারের গ্রামবাসীকে নিয়ে প্রবল বৃষ্টি ও অন্ধকারের মধ্যে সিপিএম কর্মী ও সমর্থকরা মাল ও নেওড়া নদীর সংযোগস্থলের বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে তল্লাশি চালালেও কোথাও সকাল আটটা পর্যন্ত প্রশাসনের, পুলিশের বা বিপর্যয় মোকাবিলার কোন টিমের দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি তিস্তা সেতুর নিচেও কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি।
দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি
মহঃ সেলিম বিবৃতিতে বলেছেন, শুধু সমবেদনা নয়, শোকার্ত পরিবেশেও সব স্তরে স্বজন হারানো ও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো এবং দোষীদের কঠোর শাস্তিসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ও নিখোঁজ মানুষদের উদ্ধারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সংগঠিত করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কেরলে দুটি বাসের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ৫ ছাত্র-সহ মৃত ৯